কিশোরগঞ্জ থেকে: কিশোরগঞ্জে পরকীয়া সন্দেহের কারণেই নিজের স্ত্রী আয়শা আক্তার ও স্ত্রীর ভাবি সালমা আক্তারকে গলা কেটে হত্যা করার কথা স্বীকার করেছেন শওকত আলী।
রোববার দুপুরে কিশোরগঞ্জের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আদালতের বিচারক মুহাম্মদ আব্দুন নূরের খাস কামরায় ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় স্বেচ্ছায় স্বীকারোক্তি দেন তিনি। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা নিকলী থানা পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) শামসুল আলম সিদ্দিকী আসামি শওকত আলীর স্বীকারোক্তি দেয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
গতকাল শনিবার কিশোরগঞ্জের নিকলী উপজেলার গুরুই ইউনিয়নের পশ্চিমপাড়ায় দুবাইপ্রবাসী শওকত আলী নিজের স্ত্রী আয়শা আক্তার ও স্ত্রীর ভাবি সালমা আক্তারকে ছুরি দিয়ে গলা কেটে হত্যা করেন।
এরপর লোকজন শওকতকে আটক করে পিটুনি দেন এবং পুলিশের হাতে সোপর্দ করে। এ ঘটনায় আয়শা আক্তারের বাবা গোলাপ মুন্সী বাদী হয়ে শওকতকে একমাত্র আসামি করে নিকলী থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।
আদালতে স্বীকারোক্তিতে শওকত জানান, প্রায় তিন বছর আগে আয়শার সঙ্গে তার বিয়ে হয়। তারপর দুই বছর আগে তিনি পাইপ ফিটিংসের শ্রমিক হিসেবে দুবাই চলে যান। কিছুদিন আগে তিনি জানতে পারেন, সম্বন্ধীর স্ত্রী সালমার ভাই শামীমের সঙ্গে তার স্ত্রী আয়শার দীর্ঘদিনের পরকীয়ার সম্পর্ক রয়েছে এবং সালমা এ অনৈতিক সম্পর্কের মদদদাতা।
গত শুক্রবার দুবাই থেকে গ্রামের বাড়িতে আসেন শওকত। বাড়িতে আসার পর এ নিয়ে তার স্ত্রীর সঙ্গে কলহ সৃষ্টি হয়। এর জের ধরে শনিবার সকালে পুনরায় ঝগড়া শুরু হলে আয়শা স্বামী শওকতের গালে চড় মারেন এবং তাকে মেরে ফেলতে বলেন। তখন শওকত ছুরি হাতে নিয়ে আয়শার গলায় আঘাত করলে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।
পরে স্ত্রীর মরদেহ ঘরে তালাবদ্ধ করে রক্তমাখা ছুরি কাপড়ে লুকিয়ে পূর্বপাড়ায় শ্বশুরবাড়িতে দৌড়ে যান শওকত। সেখানে সম্বন্ধী (স্ত্রীর বড় ভাই) মোস্তফা মিয়ার স্ত্রী দুই সন্তানের মা সালমা আক্তারকে একই কায়দায় ছুরি দিয়ে গলায় আঘাত করে হত্যা করেন।
এমটি নিউজ/এপি/ডিসি