কিশোরগঞ্জ: জোড়া খুনের অভিযোগ মাথায় নিয়ে বুধবার কিশোরগঞ্জের আদালতে হাজির হয়ে জামিন নিয়েছে ১০ বছরের শিশু আবদুল্লাহ।
ইউনিয়ন পরিষদের জন্ম সনদ অনুসারে চতুর্থ শ্রেণি পড়ুয়া এই মাদ্রাসা ছাত্রের জন্ম ২০০৮ সালের ১ মে। সে হিসাবে তার বর্তমান বয়স ১০ বছরেরও কম। জেলার মিঠামইন উপজেলার ঢাকী ইউনিয়নের চারিগ্রামের মো. ফরিদ মিয়ার ছেলে মো. আব্দুল্লাহ পারিবারিক বিরোধের জেরে জোড়া খুন মামলার আসামি হিসাবে কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হল।
প্রতিহিংসা চরিতার্থ করতে প্রতিপক্ষের লোকজন ১০ বছরের কম বয়সের শিশুকে ২২ বছরের যুবক সাজিয়ে আসামি করেছে। এ বিষয়টি অবগত হয়ে আদালতের বিচারক তার জামিনও মঞ্জুর করেছেন।
কিন্তু পুলিশের চোখে ধুলো দিয়ে কী করে এই অবুঝ শিশুর কাঁধে দু'দুটি খুনের দায় চাপানো হল দিনভর আদালত পাড়ার সব শ্রেণি-পেশার লোকজনের মুখে শুধু তারই সমালোচনা।
বুধবার জোড়া খুনের মামলায় অন্য আসামিদের সঙ্গে এ মামলার আসামি শিশুপুত্র আবদুল্লাহকে নিয়ে তার মা কিশোরগঞ্জের জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টে এসেছিলেন তাকে আত্মসমর্পন করিয়ে জামিন নিতে।
এ সময় আদালতের বিচারক সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এসএম আনিসুল ইসলাম আব্দুল্লাহকে শিশু আদালতে পাঠিয়ে দেন এবং অন্যদের জামিন নামঞ্জুর করেন। অপরদিকে, শিশু আদালতের বিচারক অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মো. শাহজাহান কবীর পুলিশ প্রতিবেদন না দেয়া পর্যন্ত শিশু আবদুল্লাহর জামিন মঞ্জুর করেছেন।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, খালে মাছ ধরাকে কেন্দ্র করে গত বছরের ৯ নভেম্বর জেলার মিঠামইন উপজেলার চারিগ্রামে দু’দল গ্রামবাসীর মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনায় তিন সহোদরসহ দু’পক্ষের পাঁচ ব্যক্তি নিহত হয়।
আহত হয় অর্ধ শতাধিক লোক। ওই পাঁচ খুনের মধ্যে রাজিব ও মুকুল হত্যার ঘটনায় রাজিবের বাবা সুজন মিয়া বাদি হয়ে প্রতিপক্ষের ৮৬জনকে আসামি করে ১৫ই নভেম্বর মিঠামইন থানায় জোড়া খুনের মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় ভুয়া বয়স দেখিয়ে শিশু আব্দুল্লাহকে আসামি করা হয়।
এমটিনিউজ২৪.কম/টিটি/পিএস