কিশোরগঞ্জ: কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদের দান বাক্স থেকে এবার পাওয়া গেছে ৮৮ লাখ ২৯ হাজার ১৭ টাকা। নগদ টাকা ছাড়াও আড়াইশ গ্রাম স্বর্ণের গহনা এবং সিংগাপুরী ডলার, সৌদী রিয়াল, অস্ট্রেলিয়ান ডলার, মালোয়েশিয়ান রিংগিত পাওয়া যায় দান বাক্স থেকে।
মসজিদ কমিটি সূত্রে জানা গেছে, শনিবার সকালে জেলা প্রশাসনের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাগণের উপস্থিতিতে দানবাক্স খোলা হয়। দানবাক্স খোলার পর টাকা প্রথমে বস্তায় ভরা হয়। তারপর শুরু হয় দিনব্যাপী টাকা গণনার কাজ। টাকা গণনায় মসজিদ মাদরাসার ৬০ জন ছাত্র-শিক্ষক ছাড়াও রূপালী ব্যাংকের কর্মকর্তারা অংশ গ্রহণ করেন।
গত ১৩ মে দুর্বৃত্তরা পাগলা মসজিদের একটি দানবাক্স খুলে এক বস্তা টাকা ও স্বর্ণালঙ্কার নিয়ে পালানোর চেষ্টা করে। তবে নৈশপ্রহরীর তাড়া খেয়ে টাকার বস্তা ফেলে রেখেই তাঁরা পালিয়ে যায়। সে সময় বস্তা থেকে ৮ লাখ ৪ হাজার ৯৮১ টাকা পাওয়া যায়। চুরির ঘটনা না ঘটলে দানবাক্স থেকে আরও বেশি টাকা পাওয়া যেত বলে স্থানীয়রা দাবী করেন।
কিশোরগঞ্জের জেলা শহরের নরসুন্দা নদীর তীরে এই মসজিদটির অবস্থান। পাগলা মসজিদের আয় থেকে বিভিন্ন সেবামূলক কাজে অর্থ প্রদান করা হয়।
এই মসজিদের দানবাক্স থেকে বছরে প্রায় ৪ কোটি টাকা দান হিসেবে পাওয়া যায়। মসজিদে রয়েছে লোহার তৈরি ৬টি বড় বড় দানবাক্স। তিন মাস পর পর এই দানবক্সগুলো খোলা হয়।
উল্লেখ্য গত ৩১ মার্চ পাগলা মসজিদের দানবাক্সগুলো খোলা হয়। তখন ৮৪ লাখ ৯২ হাজার টাকা পাওয়া গিয়েছিল। চলতি বছরের ৬ জানুয়ারি বাক্সগুলো খুলে ১ কোটি ২৭ লাখ ৩৬ হাজার ৪৭১ টাকা পাওয়া যায়। যা ছিল এ যাবতকালের সর্বোচ্চ দান থেকে পাওয়া আয়। এর আগে গত বছরের ২৬ আগস্ট মসজিদের দানবাক্সগুলো খুলে ১ কোটি ১৫ লাখ ৫৯ হাজার টাকা পাওয়া যায়।