ভৈরব (কিশোরগঞ্জ) : ‘রত্না, তোমার জন্য আজ আমি ফাঁসিতে ঝুললাম। তুমি, তোমার বাপ-মা-ভাই মিলে আমার সঙ্গে বেইমানি করেছ। আমি আমার মাকে কোনোদিন শান্তি দিতে পারিনি। আম্মা তুমি কোনোদিন তাদেরকে ক্ষমা কইরো না। তবে সবাই আমাকে ক্ষমা করে দিও।’
মঙ্গলবার রাতে নিজের ফেসবুকে এমন হৃদয়বিদারক স্ট্যাটাস লিখে ফাঁসির দড়িতে ঝুলে আত্মহত্যা করলেন আদনান (২৮) নামের এক যুবক। মৃত আদনান নরসিংদীর রায়পুরার মহেশপুর ইউনিয়নের আলগী গ্রামের মিস্টার মিয়ার ছেলে।
স্থানীয় সূত্র জানায়, ভৈরব শহরের নিউটাউন এলাকায় আদনানের বাবার পাঁচতলা বাড়ি রয়েছে। ওই বাড়িতে তারা থাকে। মঙ্গলবার গভীর রাতে আদনান ফেসবুকে প্রেমিকা ও তার পরিবারকে দায়ী করে স্ট্যাটাস লিখে ফাঁসিতে ঝুলে আত্মহত্যা করে।
পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, ভৈরবে রত্না নামের এক মেয়ের সঙ্গে আদনানের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। প্রেমিকার সঙ্গে আদনানের অনেক স্মৃতি এবং ছবি ফেসবুকে এখনো রয়েছে। এর মধ্যে প্রেমিকার অন্যত্র বিয়ে হয়ে যায়।
এরপর থেকে আদনানের সঙ্গে প্রেমিকার সব যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়। আদনান ভৈরবের বাসায় থাকলেও রায়পুরা এলাকায় নীলকুঠিতে মুরগির খাবার ফিডের ব্যবসা করতেন। প্রেমিকার গ্রামের বাড়ি রায়পুরা থানার দৌলতকান্দি এলাকায়। বাবা-মা-ভাই মিলে প্রেমিকাকে অন্যত্র বিয়ে দেয়ার দুঃখ ও কষ্ট থেকে আত্মহত্যা করেছে আদনান।
বুধবার সকালে পরিবারের সদস্যরা পুলিশকে বিষয়টি জানায়। পরে পুলিশের অনুমতি নিয়ে দুপুরে জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে আদনানের মরদেহ দাফন করা হয়।
এ ব্যাপারে জানতে আদনানের বাবার মোবাইলে বার বার ফোন দিলে বন্ধ পাওয়া যায়। তবে প্রতিবেশী ও আদনানের বন্ধুরা রত্নারর সঙ্গে প্রেমের বিষয়টি জানিয়ে আত্মহত্যার খবরটি নিশ্চিত করেছেন।