কিশোরগঞ্জ : বরাবরের মতো এবারও দেশের কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক শোলাকিয়া ঈদগাহ ময়দানে লাখো মুসল্লি ঈদুল আযহার নামাজ আদায় করেছেন। জামাত শুরু হয় সকাল ৯টায়।
জামাতে জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার ও শহরের গন্যমান্য ব্যক্তিসহ রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী ও বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ অংশ নেন।
১৯১ তম এ ঈদুল আযহার জামাতে ইমামতি করেন মাওলানা হিফজুর রহমান খান।
মুসল্লিদের আসা যাওয়ার সুবিধার্থে ভৈরব ও ময়মনসিংহ রুটে ‘শোলাকিয়া এক্সপ্রেস’ নামে দুটি বিশেষ ট্রেন চলাচল করে।
জনশ্রুতি আছে, কোনো এক ঈদের জামাতে শোলাকিয়ায় ১ লাখ ২৫ হাজার বা ‘সোয়া লাখ’ মুসল্লি এক সঙ্গে নামাজ আদায় করেছিলেন। সেই থেকে এই মাঠের নাম হয় ‘সোয়া লাখিয়া’ যা এখন শোলাকিয়া নামে পরিচিত।
প্রতি বছর এ ঐতিহাসিক ঈদগাহ ময়দানে ঈদের জামাতে লাখো মানুষের ঢল নামে। বড় জামাতে নামাজ আদায় করলে বেশি সওয়াব পাওয়া যায়, তাই প্রতি বছর ঈদের জামাতে দেশ-বিদেশের মুসল্লিরা ভিড় জমায় এ মাঠে।
২০১৬ সালে ঈদুল ফিতরের দিন শোলাকিয়ায় জঙ্গি হামলার ঘটনায় নিরাপত্তা নিয়ে বাড়তি সতর্কতায় গ্রহণ করে প্রশাসন। র্যাব-পুলিশের পাশাপাশি দুই প্লাটুন বিজিবি। বসানো হয় ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা। মেটাল ডিটেক্টরে দেহ তল্লাশির পর নির্ধারিত গেট দিয়ে ভিতরে প্রবেশ করতে দেয়া হয় মুসল্লিদের । মাঠের আশপাশের নিরাপত্তায় ছিল শক্তিশালী ক্যামেরাযুক্ত দুইটি ড্রোন।
আড়াই’শ বছর আগে শোলাকিয়া ঈদগাহ প্রতিষ্ঠা করেন শহরের হয়বতনগর সাহেব বাড়ির লোকজন। প্রায় ৭ একর আয়তনের এ মাঠে প্রতি বছর ঈদুল ফিতরের জামাতে দেশ-বিদেশের তিন লাখেরও বেশি মুসল্লি জামাত আদায় করেন। তবে কোরবানির আনুষ্ঠানিকতার কারনে ঈদুল আজহার জামাতে মুসল্লি সমাগম হয় কম।