কিশোরগঞ্জ: কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদের দান সিন্দুক তিন মাস ৬ দিন পর আবারও খোলা হয়েছে। দান সিন্দুক থেকে টাকা খুলে বস্তায় ভরা হয়। ১০টি বস্তায় ভরে টাকাগুলো গণনা করার কাজ শুরু হয়েছে। টাকা গণনা করার পর জানা যাবে, এবার কত টাকা সিন্দুকগুলোতে দান হিসেবে পাওয়া গেল। কিশোরগঞ্জে একটি মসজিদের সিন্দুক খুলে মিলল ১০ বস্তা টাকা!
শনিবার (১৩ অক্টোবর) সকালে জেলা প্রশাসনের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে দান সিন্দুকগুলো খোলা হয়। প্রতিবারেই সিন্দুক খুললে প্রায় ১ কোটির মতো টাকা পাওয়া যায়। সর্বশেষ গত ৭ জুলাই ৮৮ লাখ ২৯ হাজার ১৭ টাকা পাওয়া গিয়েছিল। এবার আরও বেশি টাকা পাওয়া যেতে পারে।
সিনিয়র নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আবু তাহের সাঈদ জানান, ঐতিহাসিক কিশোরগঞ্জ পাগলা মসজিদের দানবাক্সের ৫টি সিন্দুক খোলা হয়েছে। ১০টি বস্তায় ভরে টাকাগুলো গণনা করার কাজ শুরু হয়েছে। রূপালী ব্যাংকের ম্যানেজার মোঃ আমিনুল ইসলাম এবং অন্যান্য কর্মকর্তাদের সহায়তায় টাকাগুলো গণনা শুরু হয়েছে। এরপর টাকার পরিমাণ জানা যাবে।রূপালী ব্যাংকের কর্মকর্তাগণ ছাড়াও উপস্থিত রয়েছেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আবু তাহের মোঃ সাঈদ, নাজির হোসেন, খোদাদাদ, মীর তমাল এবং সাগুফতা হক। গণনা করার পর টাকার পরিমাণ জানা যাবে বলেও তিনি মন্তব্য করেন।
জেলা শহরের নরসুন্দা নদীর তীরে এ মসজিদটির অবস্থান। এ মসজিদে প্রতিদিন অসংখ্য মানুষ টাকা-পয়সা, স্বর্ণালঙ্কারসহ বিভিন্ন জিনিসপত্র দান করেন। দেশের অন্যতম আয়কারী ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান হিসেবে স্বীকৃত মসজিদটি। দেশের অন্যতম আয়কারী ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান হিসেবে স্বীকৃত মসজিদটিকে পাগলা মসজিদ ইসলামী কমপ্লেক্স নামকরণ করা হয়েছে। এ মসজিদের আয় দিয়ে কমপ্লেক্সের বিশাল ভবন নির্মাণ করা হয়েছে। এ ছাড়া মসজিদের আয় থেকে বিভিন্ন সেবামূলক খাতে অর্থ সাহায্য করা হয়।