নিউজ ডেস্ক: কিশোরগঞ্জ-২ (কটিয়াদী-পাকুন্দিয়া) আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন পুলিশের সাবেক আইজিপি ও সাবেক রাষ্ট্রদূত নূর মোহাম্মদ। কিন্তু এ মনোনয়ন প্রাপ্তির পরও তিনি বিপাকে রয়েছেন। কারণ এই আসনের মনোনয়ন বঞ্চিত স্থানীয় ১১ জন আওয়ামী লীগের নেতা তাদের কর্মী বাহিনী নিয়ে তার বিরুদ্ধে এককাট্টা হয়ে মাঠে নেমেছে।
এই আসনে বিএনপির নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোট এবং ঐক্যফন্টের সম্ভাব্য প্রার্থী হিসাবে আলোচনায় আছেন সাবেক এমপি মেজর (অব:) আখতারুজ্জামান রঞ্জন। এলাকায় তার ব্যাপক জনপ্রিয়তা রয়েছে। সেদিক বিবেচনায় তৃণমূল আওয়ামী লীগকে সঙ্গে না পেলে নৌকার বিজয় নিশ্চিত করা নূর মোহাম্মদের পক্ষে কঠিন হবে।
কিশোরগঞ্জ-২ আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য এ্যাডভোকেট মো. সোহরাব উদ্দিন এবার দলের মনোনয়নপ্রত্যাশী ছিলেন। দলের মনোনয়ন চেয়েছিলেন কিশোরগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এ্যাডভোকেট এম এ আফজল, পাকুন্দিয়া উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম রেনু, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর এ্যাডভোকেট মোখলেছুর রহমান বাদল, স্বাস্থ্য অধিদফতরের সাবেক মহাপরিচালক ডাঃ দীন মোহাম্মদ নূরুল হক, কটিয়াদী উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান লায়ন আলী আকবর, আওয়ামী লীগ নেতা মঈনুজ্জামান অপু, কটিয়াদী উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক আহ্বায়ক তারিকুল মোস্তাক রানা, জেলা কৃষক লীগের সাবেক সহ-সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার এম এ মান্নান, প্রয়াত সংসদ সদস্য প্রফেসর ডাঃ আবদুল মান্নানের ছেলে অটিজম বিশেষজ্ঞ ডাঃ মাজহারুল মান্নান পার্থ এবং প্রয়াত কমান্ডার মোহাম্মদ বজলুর রহমানের ছেলে ড. জায়েদ মোহাম্মদ হাবিবুল্লাহ।
জানা গেছে, এই আসনে দলের মনোনয়ন বঞ্চিতদের সবাই নূর মোহাম্মদের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছেন। ফলে এ আসনে নৌকার জয় নিয়ে বিপাকেই পড়তে হবে পুলিশের এই সাবেক মহাপরিদর্শককে।