ভৈরব (কিশোরগঞ্জ) : গতকাল রাত থেকে ভৈরব থানায় আটক প্রেমিক-প্রেমিকা। প্রেমিকা চান প্রেমিককে বিয়ে করতে, কিন্তু প্রেমিক চান না। শুক্রবার দিনভর আলোচনা করেও বিয়েতে রাজি না হওয়া প্রেমিক রুবেলের বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা করেছেন প্রেমিকার বাবা।
প্রেমিক রুবেল ভৈরব হাজী আসমত কলেজের অনার্সের ছাত্র। আর প্রেমিকা ভৈরবের সরকারি জিল্লুর রহমান কলেজের অনার্স পরীক্ষার্থী। তাদের দুজনের বাড়ি ভৈরব উপজেলার চাঁনপুর গ্রামে।
প্রেমিকা বলেন, আমি রুবেলকে ছাড়া কাউকে বিয়ে করব না। সে আমার সঙ্গে একাধিক দিন রাত কাটিয়েছে, তাই বিয়ে করতেই হবে।
অপরদিকে প্রেমিক রুবেল বলেন, প্রেম করেছি কিন্তু তাকে বিয়ে করব না। প্রেমিকার সঙ্গে রাত কাটালেও তার শরীর স্পর্শ করেনি।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, তারা দীর্ঘ ৭ বছর যাবত প্রেম করছেন। দুজন একাধিক দিন একসঙ্গে রাত কাটিয়েছেন। প্রেমিক রুবেল দুই বছর যাবত তার প্রেমিকাকে বিয়ে করবে বলেও বিয়ে করছে না। এই ক্ষোভে গত ৪ মাস আগে তার প্রেমিকা বিষপান করেও বেঁচে যান। এরপরও রুবেল তাকে বিয়ের আশ্বাস দিয়ে বিয়ে করছে না। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে রুবেলকে ভৈরব বাজারে পেয়ে তার প্রেমিকা আটক করে। দুইজনের তর্কবিতর্কতে আশপাশের লোকজন জড়ো হলে ভৈরব পৌরসভার প্যানেল মেয়র মো. আল আমিন ঘটনা দেখে তাদেরকে পুলিশে সোপর্দ করেন। পরে থানায় তাদের অভিভাবককে ডেকেও কোনো মীমাংসা হয়নি।
এ বিষয়ে ভৈরব থানা পুলিশের পরিদর্শক ( তদন্ত) বাহালুল খান বাহার জানান, দুই পরিবার মিলেও ঘটনাটি মীমাংসা করতে পারেনি। এই ঘটনায় প্রেমিকার বাবা বাদী হয়ে থানায় একটি ধর্ষণের মামলা করেছেন।