নিউজ ডেস্ক : কোরবানির মাঠে আসছে ‘মেসি’। ২৫ লাখ টাকায় মেসিকে বিক্রি করতে চান তার মালিক। কিশোরগঞ্জের দুলাল মিয়া শখ করে তার গরুর নাম রেখেছেন মেসি। ষাড়টির দৈর্ঘ্য ৯ ফুট। উচ্চতা ৫ ফুট। ওজন প্রায় ১ হাজার ৪০০ কেজি। সাদা আর কালো রঙের আমেরিকার ব্রাহামা জাতের গরুটি সম্পূর্ণ দেশীয় পদ্ধতিতে মোটাতাজা করা হয়েছে।
কিশোরগঞ্জের হোসেনপুর উপজেলার ডুলিহর গ্রামের ভাই ভাই খামারে বড় হয়েছে ষাড়টি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ বিভিন্ন জায়গায় বিজ্ঞাপনও দেওয়া হয়েছে তাকে বিক্রির জন্য। ঈদের এখনও প্রায় তিন সপ্তাহ বাকি। কিন্তু মেসিকে কিনতে দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে পাইকারি ব্যবসায়ীরা যোগাযোগ করছেন মালিকের সঙ্গে। প্রতিদিনই খামারে ভিড় করছেন লোকজন। দুলাল মিয়া বলেন, ‘জন্মের পর থেকেই গরুটি শান্ত। অনেক যত্ন করে তাকে বড় করেছি। আশা করছি, কোরবানির ঈদে ২৫ লাখ টাকায় মেসিকে বিক্রি করতে পারব।’
তিনি জানান, ভাই ভাই খামারে মেসি ছাড়াও ব্রাহামা ও অন্য জাতের ছোট-বড় আরও ১৮টি গরু রয়েছে। তবে এ বছর শুধু মেসিকে বিক্রি করা হবে। দেশীয় পদ্ধতিতে গরুটিকে মোটা তাজা করা হয়েছে। খামারের প্রতিটি গরুকে দেশীয় পদ্ধতিতে বড় করা হয়। চিড়া, ভুট্টার গুড়া, গমের গুড়া, ভুষি, কলা, গাজর তাদের খেতে দেওয়া হয়। উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তার সঙ্গে যোগাযোগ করে সার্বিক পরামর্শ নেওয়া হয়।
গরুটির নাম মেসি রাখার পেছনের কারণ সম্পর্কে দুলাল মিয়া বলেন, ‘গরুটি জন্মের পর থেকেই অনেক শান্ত স্বভাবের। তাকে পালতে গিয়ে আমাকে কোনো প্রকার হিমশিম পোহাতে হয়নি। ওর স্বভাবের কারণে মেসি নাম রেখেছিলাম।’
গরুর খামার করার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘টেলিভিশনে আমেরিকার ব্রাহামা জাতের গরু সম্পর্কে একটি প্রতিবেদন দেখি। এরপরই গরুর খামার করার চিন্তা করি। পরে উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসের সহযোগিতায় খামারটি গড়ে তুলি।’
হোসেনপুর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. আব্দুল মান্নান বলেন, এ উপজেলায় ছোট-বড় প্রায় ১১৬টি খামার রয়েছে। সেখানে অনেক জাতের গরুও রয়েছে। কিন্তু তার মধ্যে দুলাল মিয়ার খামারের গরুটি উপজেলার মধ্যে সর্ববৃহৎ। তিনি গরুটিকে সঠিকভাবে লালন-পালন করেছেন। আশা করছি, কোরবানির হাটে গরুটি ন্যায্য মূল্যে বিক্রি হবে। তাতে আরও অনেক খামারির গরু মোটা তাজা করণে আগ্রহ বাড়বে। তিনি আরও জানান, এবারে কোরবানি ঈদের জন্য উপজেলায় ৫ হাজার ৭৯০টি গরু ও পর্যাপ্ত ছাগল প্রস্তত রাখা হয়েছে।