সোমবার, ০৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৫, ১০:১৬:৪৩

স্কুলে নিষিদ্ধ সানী

স্কুলে নিষিদ্ধ সানী

কিশোরগঞ্জ : ফেসবুকে কথিত এক পোস্টের জেরে দুই মাসেরও বেশি সময় ধরে বিদ্যালয়ে যেতে পারছে না জেএসসি পরীক্ষার্থী তানভীর আহাম্মেদ সানী। সদরের কর্শাকড়িয়াইলের আলহাজ ওয়াজেদুল ইসলাম খান উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণীর যমুনা শাখার এই শিক্ষার্থীকে গত ২০শে জুন থেকে শ্রেণীকক্ষে নিষিদ্ধ করা হয়। বিদ্যালয়ের পক্ষে প্রধান শিক্ষক মো. শরীফ উদ্দীনের স্বাক্ষরে দেয়া এ সংক্রান্ত চিঠিতে প্রধান শিক্ষক ও একজন শিক্ষিকার বিরুদ্ধে ফেসবুকে মিথ্যা, বানোয়াট ও মানহানিকর তথ্য প্রচার করার অভিযোগের কথা উল্লেখ করা হয়েছে।


এদিকে বিদ্যালয়ে ক্লাস সাসপেন্ড করায় ওই শিক্ষার্থীর লেখাপড়া অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। প্রধান শিক্ষকসহ বিদ্যালয় সংশ্লিষ্টদের হাতে-পায়ে ধরেও শাস্তির খড়গ থেকে সে নিষ্কৃতি পাচ্ছে না। এ অবস্থায় জেএসসি পরীক্ষা খুব নিকটবর্তী হলেও প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নিতে না পেরে সানী হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়েছে। এ নিয়ে তার সহপাঠীদের মাঝেও ক্ষোভ বিরাজ করছে।

সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্রে জানা গেছে, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. শরীফ উদ্দীনের সঙ্গে সহকারী শিক্ষিকা নাসরিন সুলতানার ঘনিষ্ঠতা নিয়ে এলাকায় নানা মুখরোচক আলোচনা চলে আসছিল। বিষয়টি ফেসবুকের মাধ্যমে অষ্টম শ্রেণীর ছাত্র তানভীর আহাম্মেদ সানী এলাকায় ছড়িয়েছে এমন অভিযোগে সানীকে বিদ্যালয়ের ক্লাসে প্রবেশ ও পাঠ গ্রহণ থেকে বিরত থাকতে লিখিত আদেশ প্রদান করা হয়। গত ২০শে জুন এ আদেশের পর থেকে সানীকে বিদ্যালয়ে আসতে দেয়া হচ্ছে না।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন এলাকাবাসী জানান, স্কুলের প্রধান শিক্ষক মো. শরীফ উদ্দীন ও সহকারী শিক্ষিকা নাসরিন সুলতানার মধ্যে অনৈতিক ও আপত্তিকর সম্পর্কের খবর ছাত্রছাত্রী, অভিভাবকসহ এলাকার সবার মুখে মুখে ছিল। কিন্তু সানীকে বলির পাঁঠা বানানো হয়েছে। ফেসবুকে সানী যে পোস্টটি দিয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়, সে পোস্টটি কেউ দেখাতে পারেননি। কাল্পনিক অভিযোগে ওপর ভিত্তি করে শিশু সানীর শিক্ষাজীবনকে অন্ধকারে ঠেলে দেয়া হয়েছে বলেও তারা মন্তব্য করেন।

এ ব্যাপারে প্রধান শিক্ষক মো. শরীফ উদ্দীন জানান, বিদ্যালয়ের শৃঙ্খলা বজায় রাখার স্বার্থে ম্যানেজিং কমিটি সানীকে ক্লাসে সাময়িক সাসপেন্ড করেছে। তবে সে জেএসসি পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবে। যে ফেসবুক পোস্টটি দেয়ার অভিযোগে সানীকে ক্লাস সাসপেন্ড করা হয়েছে সেটি তিনি দেখেছেন কিনা এ প্রশ্নের জবাবে প্রধান শিক্ষক মো. শরীফ উদ্দীন বলেন, আমি দেখিনি। তবে অন্য এক টিচার দেখেছেন। এছাড়া সানীও স্বীকার করেছে অন্যের প্ররোচণায় সে এমন মিথ্যা ও মানহানিকর তথ্য ফেসবুকে প্রচার করেছিল। তবে পোস্টটি জানাজানি হওয়ার পরই সে ডিলিট করে দিয়েছিল।-এমজমিন
২৫ আগস্ট, ২০১৫/এমটিনিউজ২৪/এস.এ.সুমন/একে

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে