বৃহস্পতিবার, ০৭ জুলাই, ২০১৬, ০৪:০৩:৩৬

হামলায় অংশ নেয় আটজন?

 হামলায় অংশ নেয় আটজন?

আসিফুর রহমান, কিশোরগঞ্জ থেকে: কিশোরগঞ্জে শোলাকিয়া ঈদগাহ মাঠের কাছে সন্ত্রাসী হামলায় আটজন অংশ নেয় বলে পুলিশের হাতে আটক আহত এক ব্যক্তি দাবি করেছেন। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হামলায় অংশ নেওয়া ওই ব্যক্তি নিজের বাড়ি দিনাজপুর বলে উল্লেখ করে বলেছেন, ২৭ রোজার দিন তাঁরা কিশোরগঞ্জে আসেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কিশোরগঞ্জ পুলিশের একটি সূত্র এ কথা জানিয়েছে। সূত্র জানায়, কিশোরগঞ্জ সদর হাসপাতালে ওই চিকিৎসাধীন ব্যক্তি শুধু এটুকুই জানিয়েছেন। পুলিশ আরও বলছে, ওই ব্যক্তিকে চিকিৎসার জন্য কড়া নিরাপত্তায় ময়মনসিংহে পাঠানো হয়েছে। সুস্থ হওয়ার পর তাঁকে আরও জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে অনেক তথ্য পাওয়ার সম্ভাবনা আছে।
সদর হাসপাতালে চিকিৎসক মাত্র একজন: সরেজমিনে হাসপাতালে দেখা যায়, সেখানে চিকিৎসক মাত্র একজন। আর দুজন সহকারী ছোটাছুটি করে আহত ব্যক্তিদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে দ্রুত ময়মনসিংহে পাঠিয়ে দিচ্ছেন। কথা বলার ফুরসত তাঁদের নেই। আহত বেশির ভাগই হাত-পায়ে গুলিবিদ্ধ পুলিশ সদস্য। জানা গেল, হাসপাতালে এখন পর্যন্ত ১৩ জন চিকিৎসা নিয়েছেন। আহত ব্যক্তিদের মধ্যে ১০ জন পুলিশ সদস্য, একজন সিএনজিচালক।
ঈদগাহ মাঠে ছড়িয়ে পড়ে হামলার খবর: তখন নামাজ শুরু হওয়ার অপেক্ষায় লাখো মুসল্লি। ধর্মীয় আলোচনা চলছে। এরই মাঝে ফিসফিস গুঞ্জন। কোথায় নাকি হামলা হয়েছে, গোলাগুলি চলছে। মুসল্লিরা বসা থেকে উঠে দাঁড়ানো শুরু করলেন। আশপাশে সতর্ক দৃষ্টি। নামাজ শুরুর আগেই বিভিন্ন গণমাধ্যমের সূত্রে অনেকের বাড়ি থেকে ফোন আসা শুরু করল। মাঠে কিছু হয়নি বলে আশ্বস্ত করে তাঁরা নামাজের প্রস্তুতি নিলেন।
ঈদের নামাজে আসতে পারেননি শোলাকিয়ার ইমাম মাওলানা ফরিদ উদ্দিন মাসউদ। তাঁর অনুপস্থিতিতে পাঁচ মিনিট পর বড় বাজার জামে মসজিদের ইমাম হাফেজ মাওলানা সোয়াইব আবদুর রউফ নামাজ পড়ান। ১০ মিনিটের মধ্যে নামাজ-খুতবা ও দোয়া শেষ করলেন মাওলানা সোয়াইব। পরে মাইকে ঘোষণা এল, ‘আপনারা কেউ আজিমুদ্দিন স্কুলের দিকে যাবেন না। ওদিকে গোলাগুলি হচ্ছে।’- প্রথম আলো
৭ জুলাই ২০১৬/এমটি নিউজ২৪/এইচএস/কেএস

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে