কিশোরগঞ্জ : অন্যান্য বছরের মত এবছরও কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়ায় দেশের সবচেয়ে বড় ঈদ জামাতে নামাজ পড়াতে সেখানে গিয়েছিলেন ইমাম মওলানা ফরিদউদ্দিন মাসউদ।
শোলাকিয়ায় ১৮৯তম ঈদের জামাতে ইমামতি করার জন্য সকাল নয়টার দিকে হেলিকপ্টারে করে ঢাকা থেকে কিশোরগঞ্জ স্টেডিয়ামে পৌঁছেন ইমাম ফরিদউদ্দিন মাসউদ। ১০ বছর ধরে তিনি দেশের সবচেয়ে বড় এই ঈদের জামাতে ইমামতি করছেন।
এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, তিনি মনে করছেন- শোলাকিয়ায় হামলার টার্গেট সম্ভবত তিনিই ছিলেন। দীর্ঘদিন থেকেই তাকে হুমকি ধমকি দেয়া হচ্ছে।
‘আমি সবসময়ই জঙ্গীবাদের বিরুদ্ধে সোচ্চার এবং আমার পুরো ইমেজটাকেই আমি শান্তির জন্য ব্যয় করছি। তাই এটা অসম্ভব নয় যে আমাকে তারা টার্গেট করবে বা করছে।’
‘এটা শুনছি যে, যারা ধরা পড়েছে একথাটাও তারা উল্লেখ করেছে যে আমি তাদের টার্গেট ছিলাম– আছি।’
মওলানা মাসউদ বলেন, সময় বাঁচাতে প্রতিবছরের মত এবারেও ঢাকা থেকে হেলিকপ্টারে করে কিশোরগঞ্জ গিয়েছিলেন তিনি।
হেলিকপ্টার থেকে কিশোরগঞ্জ স্টেডিয়ামে নামার সময় তিনি একটা আওয়াজ শুনতে পান, যেটাকে তিনি প্রথমে তেমন আমলে নেননি বলে বলেন।
সঙ্গে থাকা নিরাপত্তা কর্মীরা তখন তাঁকে জানিয়েছিলেন সেখানে বোমা নিক্ষেপের একটা ঘটনা ঘটেছে।
পরে তাঁকে নিয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী জেলার সার্কিট হাউজে চলে যায়।
সার্কিট হাউসে যাওয়ার পর তিনি জানতে পারেন পুলিশের টহল বাহিনীর ওপর হামলা হয়েছে এবং পুলিশ মারা গেছে।
এরপর নিরাপত্তাকর্মীরা শোলাকিয়ার জামাতে তাকে না যাওয়ার পরামর্শ দেন । ওরা মনে করেছিল আমি হয়তো তাদের টার্গেট হব।
মওলানা মাসউদ বলেন, ওরা জনমনে একটা আতঙ্ক সৃষ্টি করতে চায়। ওরা বিলক্ষণ জানে এভাবে সরকার বা সমাজ পরিবর্তন হবে না।
তিনি বলেন, তাদের আতঙ্ক সৃষ্টির এই কৌশল নেয়ার কারণ হলো জনগণ যখন আতঙ্কিত হয়ে যায়, তখন আতঙ্কিত মানুষের প্রতিরোধ শক্তি কমে যায়।
বাংলাদেশে সম্প্রতি বেশ ক’টি গুপ্ত হত্যার প্রেক্ষাপটে কিছুদিন আগে ইসলামের ব্যাখ্যা দিয়ে জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে ফতোয়া জারি করা হয়।
ধর্মের নামে মানুষ হত্যাকারীরা জাহান্নামে যাবে- এ ধরনের দশটির মতো ফতোয়ার উদ্যোক্তা ছিলেন শোলাকিয়ার এই ইমাম।
৭ জুলাই,২০১৬/এমটিনিউজ২৪/প্রতিনিধি/এমআর/এসএম