কুমিল্লা থেকে: কুমিল্লার কোটবাড়ীতে ৫২ ঘণ্টা অভিযানের পর চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি মো. শফিকুল ইসলাম জানিয়েছেন, আস্তানায় কোনও জঙ্গি নেই। তবে বিস্ফোরক আছে।
ডিআইজি বলেন, ‘আমাদের মনে হচ্ছে এখন বাড়ির ভেতরে কেউ নেই। বাড়িওয়ালা বুধবার সকাল ১০টায় বাড়িতে জঙ্গি থাকার তথ্য দিয়েছিল। আমরা আসতে আসতে বেলা ৪টা বেজে যায়। এরপর আমরা বাড়িটিতে কর্ডন করে তালা লাগিয়ে দেই। এর মধ্যে হয়তো তারা বেরিয়ে গেছে। বাড়িওয়ালা আমাদের বলেছিলেন, দুজন জঙ্গি আছে। এর মধ্যে একজন বাড়িতে আছে, আরেকজন বেরিয়ে গেছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘জঙ্গি না তাকলেও ওই বাড়িতে ব্যাপক বিস্ফোরক আছে এটা আমরা নিশ্চিত হয়েছি। অভিযান এখনও চলছে।’
ডিআইজি জানিয়েছেন, সোয়াট টিমের সদস্যরা এখনও বাড়ির ভেতরে প্রবেশ করেনি। তবে এর আগে অভিযান সংশ্লিষ্ট্র একটি দায়িত্বশীল সূত্র জানিয়েছির। সোয়াট টিমের সদস্যরা বাড়ির ভেতরে প্রবেশ করেছে। বাড়ির নিচতলা থেকে তারা একটি ব্যাগ উদ্ধার করেছে। ব্যঅগের ভেতর কী আছে তা এখনও জানা যায়নি।
এর আগে শুক্রবার সকাল ১১টার দিকে সোয়াট টিমের সদস্যরা অভিযান শুরু করে। অভিযান শুরুর কিছুক্ষণ পরই সেখান থেকে গোলাগুলির শব্দ শোনা যায়। এছাড়া ঘটনাস্থলে বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিটের সদস্যরা উপস্থিত রয়েছে। ওই এলাকা ঘিরে রেখেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।
জঙ্গি আস্তানা এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। ওই এলাকায় ঘিরে রেখেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। শুক্রবার সকাল থেকেই সোয়াট টিম ও বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিটের সদস্যরা অভিযান চালানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে। নির্বিঘ্নে অভিযান চালাতে এবং ক্ষয়ক্ষতি ও প্রাণহানি এড়াতে কোটবাড়ী এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। এছাড়া বিশ্ব রোড থেকে কোটবাড়ী এলাকা পর্যন্ত সব ধরনের যানবাহন চলাচলা নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
কোটবাড়ীর নির্মাণাধীন ওই বাড়িটি বুধবার বিকাল থেকে ঘিরে রাখা হয়েছে। সিটি করপোরেশন নির্বাচনের কারণে বৃহস্পতিবার সেখানে অভিযান চালানো হয়নি। বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের সোয়াট ও বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিটের ২৪ জনের একটি টিম সদস্য কুমিল্লায় অবস্থান করছেন। চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি মো. শফিকুল ইসলামসহ পুলিশের কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে উপস্থিত আছেন।
৩১ মার্চ ২০১৭/এমটিনিউজ২৪/টিটি/পিএস