গৌরীপুরে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড, ১৭টি দোকান পুড়ে ছাই
আকতার হোসেন (রবিন), কুমিল্লা প্রতিনিধি: দাউদকান্দির গৌরীপুরে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে১৭টি দোকান পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। ২১ ডিসেম্বর সোমবার সকাল সাড়ে ৬টায় উপজেলার ঐতিহ্যবাহি ব্যবসার প্রাণকেন্দ্র গৌরীপুর বাজারের খাঁন মার্কেটে এক বৈদ্যুতিক শর্টশার্কিট থেকে এই ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত ঘটে বলে জানা যায়।
দাউদকান্দি, চান্দিনা, হোমনা ও কুমিল্লা ফায়ার সার্ভিসের ৪টি ইউনিট প্রায় সাড়ে ৩ ঘন্টা চেষ্টা করে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়। এসময় ফায়ার সার্ভিসের পাশাপাশি দাউদকান্দি মডেল থানা, গৌরীপুর ফাঁড়ি পুলিশ ও স্থানীয় লোকজন আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সহায়তা করেন।
এই অগ্নিকা-ে খান মার্কেটের ১৭টি তৈরি পোশাকের দোকান সম্পূর্ণ পুড়ে ছাই হয়ে যায়। শীতকালীন পোশাক পরিমাণে বেশি থাকায় আগুনের লেলিহান তীব্র থেকে তীব্রতরভাবে চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে।
এঅগ্নিকাণ্ডের বিষয়ে গৌরীপুর বাজার কমিটির সাধারণ সম্পাদক হাজী মোঃ ওমর আলী মোল্লা বলেন, ‘অগ্নিকাণ্ডে প্রায় ৫ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে’। দাউদকান্দি ফায়ার সার্ভিসের স্ট্রেশন অফিসার (এসও) মোঃ জসিম উদ্দিন জানান, ‘বৈদ্যুতিক শর্টশার্কিট থেকে এ আগুনের সূত্রপাত ঘটলে মুহুর্তের মধ্যেই আগুন চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে। যা নিয়ন্ত্রণ করতে আমাদের হিমশিম খেতে হয়।’
অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে দ্রুত ছুটে আসেন, দাউদকান্দি উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহাম্মদ আসাদুজ্জামান, দাউদকান্দি উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি) এ.এইচ.এম. মাহফুজুর রহমান, দাউদকান্দি মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ আবু ছালাম মিয়া, কুমিল্লা ফায়ার সার্ভিসের ডিএডি মোঃ ফরিদ আহমেদ, দাউদকান্দি উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান রোজিনা আক্তার, দাউদকান্দি উপজেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সাধারণ সম্পাদক কবি-কলামিস্ট মো. আলী আশরাফ খান প্রমুখ।
দাউদকান্দি উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহাম্মদ আসাদুজ্জামান জানান, ‘আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। ক্ষতিগ্রস্ত দোকান মালিকদের তালিকা তৈরী করা হচ্ছে। প্রাথমিকভাবে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানা এখন সম্ভব হয়নি’। দাউদকান্দি মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ আবু ছালাম মিয়া জানান, ‘প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, বৈদ্যুতিক শর্ট শার্কিট থেকেই এ আগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত’।
এ ব্যাপারে কবি মো.আলী আশরাফ খান বলেন,‘দিনে দিনে গৌরীপুর বাজারের ডোবা, খাল ও পুকুরগুলো ভরাট হয়ে যাওয়ায় অগ্নিকা-ের কোন ঘটনা ঘটলে পানি পাওয়া দুষ্কর হয়ে পড়ে। গোমতী নদী দূরবর্তী বিধায় পানির সংযোগ স্থাপন বেশ কষ্ট সাধ্য ব্যাপার হয়ে দাঁড়ায় ফায়ার সার্ভিস কর্মীদের’। তিনি আরো বলেন, ‘ঐতিহ্যবাহী গৌরীপুরকে রক্ষা করতে হলে, দখলকৃত সব খাল, ডোবা ও পুকুরসহ সব ধরনের জলায় উদ্ধার ও রক্ষায় সরকারের পক্ষ জোরালো পদক্ষেপ নিতে হবে। আর নয়তো এই গৌরীপুরের চিত্র চিরতরে বদলে যাবে।’
২১ ডিসেম্বর, ২০১৫/এমটিনিউজ২৪/প্রতিনিধি/এইচএস/কেএস
�