কুমিল্লা থেকে : বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি ও দেশের সকল বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর আব্দুল হামিদ অত্যন্ত রসিক মানুষ। বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তনের বক্তৃতা শুনলেই যার প্রমাণ পাওয়া যায়। গত সোমবার কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তনে তিনি এমনি কিছু রসিকতা করেছেন। যার কিছু অংশবিশেষ পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হলো।
''কুমিল্লা আইসা তো আরো বেশি হতাশ হইয়া পড়লাম। আজকে যেই অবস্থা... ১৪টা স্বর্ণপদক দিলাম, এর মাইধ্যে এগারোডা লইয়া গেছে মেয়েরা। আমি ছেলেদেরকে বলি, তোমরা কি ঘোড়ার ঘাস কাটো? আরে... একটু কাছাকাছি তো থাকবা! পিছে না হয় পড়ছো পড়লা, এত পিছে পড়ে নাকি? তোমরা করোটা কি? আমার মনে হয়, এখানে ডাল মে কুচ কালা হে! এখানে কোনো ভেজাল টেজাল আছে তোমাদের! এইসব ভেজাল উতরাইতে হবে। তোমাদের তো পিছায়ে গেলে চলবে না, তোমাদেরকেও আগায়ে যাইতে হবে।
আমার মনটাও খুব খারাপ! কারণ হইলো কি... গতকালকা একটা আরটি সাইন্স এনভায়রনমেন্ট সাইন্স সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট কনফারেন্সে গেলাম। সন্ধ্যার পর বাসায় আইসা দেখলাম, আমার বউ চলে গেছে। বঙ্গভবন এমন একটা জায়গা আমি যদি কোথায় যাই, এদিক থেকে সেদিক চুল পরিমাণ নড়ার জায়গা নাই। মানে কোথাও যাবো এই ধরনের কোনো সুযোগ আমার নাই। আমার বউ যে চলে গেল, এইডার কোনো খবর নাই। পরে খবর পাইলাম, আমার বউ আমার মেয়ের বাসায় চলে গেছে।
পরে টেলিফোন করলাম, আমার নাতনি ধরল। সে বলল... আমাকে নান, আর আমার স্ত্রীকে নান ভাই ডাকে। তো সে ফোন ধরে বলল, নান ভাই তোমার বঙ্গভবনে আসবে না। পরে বললাম তো, খারাপ না! তবে কথাটা হইলো কি, তোমার নান ভাই যদি আমার সময় থাকতে এইভাবে যাইতো তবে কতই না ভালো হইতো। কারণ অসময়ে চলে যাওয়া এইডা একটা বিরাট সম'স্যার সৃষ্টি হইলো। আসলে মহিলাদের ব্যাপারে তো এর চেয়ে বেশি কিছু করা যায় না কারণ নারী নির্যা'তন আইন আছে।''