এমটিনিউজ২৪ ডেস্ক : কুমিল্লার দাউদকান্দিতে গাছ লাগানোকে কেন্দ্র করে চাচীর কামড়ে ভাতিজা সুমন মিয়ার (৩৬) মৃত্যু হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় উপজেলার সুন্দুলপুর ইউনিয়নের দশপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। উপজেলার গৌরীপুর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাতে মৃত্যু হয় সুমনের।
নিহত সুমন মিয়া (৩৬) দশপাড়া গ্রামের মৃত শাহজালালের পুত্র।
তিনি নারায়নগঞ্জে পানি উন্নয় বোর্ডের সরকারি কর্মচারী ছিলেন। আজ শুক্রবার সকালে নিহত সুমন মিয়ার লাশ ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লায় মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ হত্যাকান্ডের ঘটনায় ঘাতক চাচী পারুল আক্তার (৪৫), তার স্বামী আলী মিয়া (৫৫), ছেলে রাব্বি আহমেদ ও মেয়ে তানিয়া আক্তারকে আটক করা হয়েছে।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, সুমন মিয়া কর্মক্ষেত্র নারায়নগঞ্জ থেকে সন্ধ্যায় বাড়ি এসে দেখে তার জায়গায় চারা গাছ লাগাচ্ছে।
তিনি তার চাচীকে তার সীমানায় গাছ লাগাতে না বলে। এতে তাকে গালিগালাজ করতে থাকে। এতে সুমন মিয়া প্রতিবাদ করে এবং চাচা আলী মিয়াকে জানাতে গেলে তার চাচাতো ভাই ও বোন কিল গুষি দেয়। পরে তার চাচী সুমন মিয়ার অন্ডকোষে কামড় দিলে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে সে।
পরে বাড়ির লোকজন তাকে উদ্ধার করে গৌরীপুর হাসপাতালে নিয়ে গেল কর্ব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। পরে ঘাতক পারুল আক্তারসহ চারজন হাসপাতালে গেলে ক্ষুব্দ এলাকাবাসী আটক করে রাখে তাদের। পুলিশ ও সেনাবাহিনীর খবর পেয়ে তাদেরকে আটক করে মডেল থানায় নিয়ে যায়।
নিহত স্ত্রী ছালমা আক্তার স্বামীর মৃত্যুর খবর শুনে বাকরুদ্ধ হয়ে বার বার মুচ্ছা যায়। তিনি বলেন, ‘আমাদের জায়গায় গাছ লাগানোয় বাধা দেওয়ায় এভাবে আমার স্বামীর অন্ডকোষে কামড়ে হত্যা করেছে। এ ঘাতক মহিলাসহ সবার ফাঁসী চাই। আমি এ দুটি শিশু সন্তান নিয়ে কি ভাবে বাঁচবো আল্লাহ...।’
দাউদকান্দি মডেল থানার সেকেন্ড অফিসার সুজয় মজুমদার বলেন, ‘গাছ লাগানোকে কেন্দ্র করে মারামারির ঘটনায় নিহত সুমন মিয়ার লাশ ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত পারুল আক্তারসহ চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এব্যাপারে থানায় একটি হত্যা মামলাও নেওয়া হয়েছে।