শনিবার, ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৭, ০২:৩৬:২৫

মেঘনায় ধরা পড়ছে ঝাঁকে ঝাঁকে রূপালি ইলিশ

মেঘনায় ধরা পড়ছে ঝাঁকে ঝাঁকে রূপালি ইলিশ

লক্ষ্মীপুর : দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর হাসি ফুটেছে মেঘনা পাড়ের জেলেদের মুখে। গভীর রাত পযর্ন্ত লক্ষ্মীপুরের হাট বাজারগুলোতে চলে ইলিশের বেচাকেনা।  নদীতে ধরা পড়ছে ঝাঁকে ঝাঁকে রূপালি ইলিশ। ইলিশ ধরাকে কেন্দ্র করে লক্ষ্মীপুরে মেঘনা নদীর গোটা উপকূলীয় এলাকার হাজার হাজার জেলে পরিবারে উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করছে। ব্যস্ত সময় পার করছেন আড়তদারসহ মৎস্য ব্যবসায়ীরা।

সকাল থেকে রাত পর্যন্ত মাছ ঘাটগুলোতে অসংখ্য নারী-পুরুষের ভির। সবাই মাছ কেনায় ব্যস্ত। ঘাটের ব্যবসায়ীরা জানান, কিছুটা দেরিতে হলেও নদীতে এখন প্রচুর ইলিশ ধরা পড়ছে।

এখন ৫শ’ গ্রাম সাইজের প্রতি হালি (৪টি) ইলিশের দাম ৬-৭শ’ টাকা, ১ কেজি সাইজের প্রতি হালি ২৫-২৮শ’ টাকায়, জাটকার কেজি ১৩০-১৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। অক্টোবর মাস থেকে ২২ দিনের জন্য ইলিশ ধরা বন্ধ থাকবে। তাই এ সুযোগে যে যা পারছে ইলিশ কিনে মজুদ করছে। দাম নাগালে থাকায় ইলিশ কিনে খুশী সাধারণ মানুষ।

লক্ষ্মীপুর সদর, কমলনগর, রামগতি ও রায়পুর উপজেলার মেঘনাপাড়ের সব কয়টি ঘাটে ইলিশ বেচা-কেনায় ব্যস্ত সময় পার করছে ক্রেতা-বিক্রেতারা। সদর উপজেলার মজুচৌধুরীরহাট, কমলনগর উপজেলার মতিরহাট, বাত্তিরঘাট, কটরিয়া, লুধুয়া-ফলকন, রামগতি উপজেলার রামগতি ঘাট, টাংকীর ঘাট, আলেকজান্ডার সেন্টার খাল, রায়পুরের চরবংশী এবং চর আবাবিলের ঘাটেও একই অবস্থা। আবার লক্ষ্মীপুরের রামগতির আলেকজান্ডার থেকে চাঁদপুরের ষাটনল এলাকার ১০০ কিলোমিটার পর্যন্ত ছোট-বড় প্রায় ৩০টি মাছঘাটে মাছ বিক্রিতে ব্যস্ত জেলেরা। মেঘনা নদীর মাছের ওপর নির্ভরশীল জেলের সংখ্যা প্রায় এক লাখ হবে বলে দাবি জেলে সম্প্রদায়ের।

স্থানীয়ভাবে জানা যায়, মেঘনা উপকূলীয় লক্ষ্মীপুর অঞ্চলের জেলেরা বর্তমানে ব্যস্তত সময় পার করছে। কিছুদিন আগে নদীতে ইলিশের আকালের পর এখন জেলেরা ইলিশ ধরা নিয়ে ব্যস্ত। জেলেদের জালে ইলিশ ধরা পড়ায় তাদের মাঝে আনন্দ বিরাজ করছে। ইলিশের ঘাটগুলোতে ইলিশ মাছ আহরণ ও বাজার জাতকরণের সঙ্গে জড়িত হাজার হাজার জেলে ও ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বরফকল ও আড়তের শ্রমিকরাও ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন।

মজু চৌধুরীর হাট মাছ ঘাটের জেলে হারুণ মাঝি বলেন,‘নদীতে অহন মেলা মাছ, আল্লাহ হারা বছর এরম রাখলে আমাগো আর অভাব থাকবো না।’

এখানকার আড়তদার ইয়াকুব আলী ব্যাপারি জানান, মেঘনা নদীতে জেলেদের জালে প্রচুর ইলিশ ধরা পড়ায় আনন্দের কমতি নেই। এভাবে চলতে থাকলে সবার ভাগ্য বদলে যাবে। বর্তমানে মাছের দর উঠা-নামা করছে। মৎস ব্যবসায়ী ও জেলেদের আশা, নদীতে এভাবে ইলিশ ধরা পড়লে লাভের মুখ দেখতে পাবেন তারা।

এ ব্যাপারে লক্ষ্মীপুর জেলা মৎস্য কর্মকর্তা এস এম মহিব উল্যা বলেন,‘প্রজনন মৌসুমে মা ইলিশ রক্ষা, জাটকা সংরক্ষণ ও জেলেদের পূণবার্সনসহ মৎস্য অধিদফতরের বিভিন্ন কার্যকর পদক্ষেপের কারণে ইলিশের উৎপাদন বৃদ্ধি পেয়েছে। জাটকা আহরণ পুরোপুরি বন্ধ করা গেলে ইলিশের সেই সোনালী দিন আবার ফিরে আসবে।’
এমটিনিউজ২৪.কম/টিটি/পিএস

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে