লক্ষ্মীপুর : রামগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের ছাত্রী বিষয়ক সম্পাদক ফাতেমা রিপার কান্নারত একটি ফেসবুক লাইভ ভাইরাল হয়েছে। রিপার অভিযোগ তাকে জোর করে স্টেজ থেকে নামিয়ে দেওয়া হয়েছে।
গত শনিবার দুপুরের পর ফেসবুক লাইভে এসে অভিযোগ জানাতে এসে কান্নায় ভেঙে পড়েন এই উপজেলা ছাত্রলীগ নেত্রী। তার কান্নার ভিডিওটি ইতিমধ্যে জেলাজুড়ে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। এ ছাড়া, ফেসবুকে শেয়ারের কারণে তা ভাইরাল হয়ে ছড়িয়ে পড়ে।
তবে রামগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে এটাকে নিছক পাগলামি বলে অবহিত করা হয়েছে।
ছাত্রলীগের নেত্রী ফাতেমা রিপা লাইভে সবাইকে উদ্দেশ্য করে বলেন, আমি উপজেলার আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগসহ দলীয় সকল কার্যক্রমে অংশ নেই, অথচ দলীয় সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত। কেন আমাকে এভাবে অপমানিত করা হবে প্রশ্ন করে তিনি বলেন, আমাকে বারবার স্টেজ থেকে আমাকে নামিয়ে দেওয়া হয়েছে।
লাইভে তিনি বলেন, ‘বসার জায়গা না দিক আমি প্রয়োজনে দাঁড়িয়ে থাকব। আমি ছাত্রলীগ করি আমার দাঁড়িয়ে থাকার অভ্যাস আছে। কিন্তু অনুষ্ঠান চলাকালীন সময়ে স্টেজ থেকে নামিয়ে দেওয়ার মতো অপমান আর কোন কিছুতে নাই’। এসব কথা বলতে বলতে ছাত্রলীগ নেত্রী ফাতেমা রিপা কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন।
তিনি আরও জানান, নির্বাচনের সময় সকালে বের হতাম, ফিরতাম সন্ধ্যায় প্রচার প্রচারণা শেষ করে। খাওয়া দাওয়ার দিকেও তাকাতাম না। উপজেলাতে কোন প্রোগ্রাম হলেও আমার সাথে এমন আচরণ করা হয়। জেলা ছাত্রলীগের প্রোগ্রামে আমার সঙ্গে এমন ব্যবহার কখনো করেনি কেউ।
সোমবার দুপুর পর্যন্ত ফাতেমা রিপার ফেসবুক আইডিতে প্রকাশিত লাইভটি কয়েক হাজারবার শেয়ার হয়েছে। তার লাইভে এমন বক্তব্য ইতিমধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক ভাইরাল হওয়ায় বিষয়টি অনেকের চোখে পড়েছে।
উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি কামরুল হাসান ফয়সাল মাল এ প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের বলেন, ‘এটা পাগলামি। কারণ এটা ছিল শিক্ষকদের প্রোগ্রাম। অনুষ্ঠানের একপর্যায়ে এমপি মহোদয় ড. আনোয়ার হোসেন খাঁন শিক্ষক সমিতির নেতৃবৃন্দ ও দলের সিনিয়র নেতাদের ছাড়া সবাইকে স্টেজ থেকে নেমে যেতে বলেন। আমরাও সবাই স্টেজ থেকে নেমে গেছি। কিন্তু ফাতেমা রিপা না নামায় ঘটনার সময় হাস্যরসের সৃষ্টি হয়েছে’।
জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি জিয়াউল করীম নিশান জানান, ‘আমি ফাতেমা রিপাকে ডেকে জিজ্ঞাসা করেছি। বিষয়টি নিয়ে ধূম্রজাল সৃষ্টি হয়েছে। কেন এমনটা ঘটল আমরা উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সম্পাদকের সঙ্গে বসে বিষয়টি সমাধান করে দেব।
উল্লেখ্য, গত শনিবার রামগঞ্জ পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে রামগঞ্জ উপজেলা শিক্ষক সমিতির উদ্যোগে রামগঞ্জ আসনের সাংসদ ড. আনোয়ার হোসেন খাঁনকে দেওয়া সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের একপর্যায়ে ছাত্রলীগের এ নেত্রীকে মঞ্চ থেকে নেমে যেতে বলা হয়।