লক্ষ্মীপুর: পারিবারিক কলহে নিজের ফেসবুক আইডি থেকে লাইভ দিয়ে লক্ষ্মীপুর জেলা দায়রা জজ আদালতের ছাদ থেকে লাফিয়ে আত্মহত্যা করেছে রাকিব হোসেন রুমান নামে এক যুবক। আজ বুধবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। নিহত যুবক পৌরসভার উত্তর মজুপুর এলাকার নুরুল ইসলামের ছেলে। তবে পুলিশ বলছে, পারিবারিক কলহ বা অন্য কোন কারণে এ ঘটনা ঘটেছে কিনা, সে বিষয় মাথায় নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে। তদন্তের পর আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, লক্ষ্মীপুর পৌরসভার উত্তর মজুপুর এলাকার নুরুল ইসলামের ছোট ছেলে রাকিব হোসেন রুমান বুধবার ১১টায় ৩৩ মিনিটে লক্ষ্মীপুর জেলা ও দায়রা জজ আদালতের ৫ তলা ছাঁদের ওপর গিয়ে এক মিনিট ৪৭ সেকেন্ডের ভিডিও আপলোড করে নিজের ফেসবুক আইডিতে লাইভ দিয়ে লাফিয়ে পড়ে নিচে। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে নেয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনা কোনভাবে মেনে নিতে পারছেনা নিহেতর স্বজনরা।
শহরের ঝুমুর সিনেমা হল এলাকায় নিহতের বড় ভাই জাকির হোসেনের দোকানে গত কয়েকদিনে আগে কিছু মালামাল চুরি হয়। এ নিয়ে রাকিব হোসেন রুমানকে বকাঝকা করে বড় ভাই।
এছাড়া পারিবারিক বিরোধ ছিল বলে অভিযোগ করে স্থানীয়রা। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ছাঁদ থেকে লাফিয়ে পড়ে আত্মহত্যা করে রাকিব হোসেন। তবে কি কারণে এঘটনা ঘটেছে সে বিষয়ে তদন্ত করে প্রকৃত ঘটনার রহস্য উদঘাটনের দাবি করেন আইনজীবীরা।
তবে নিহতের বাবা নুরুল ইসলাম ও বড়ভাই জাকির হোসেন বলেন, রাকিব হোসেন কি কারণে আত্মহত্যা করেছে সেটার কোন উত্তর তাদের জানা নেই। তার এ মৃত্যু কোনভাবে মেনে নিতে পারছে না তারা।
সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা: আনোয়ার হোসেন জানান, রাকিব হোসেন হাসপাতালে নেয়ার আগে মারা যায়। তবে মাথায় রক্তক্ষরন ও শরীরের বিভিন্ন অংশ থেঁতলে যায়। এ কারনে মারা যায় সে। ময়নাতদন্তের পর প্রতিবেদন দেয়া হবে।
লক্ষ্মীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মিমতানুর রহমান জানান, পারিবারিক কলহ বা অন্য কোন কারণে এ ঘটনা ঘটেছে কিনা, সে বিষয় মাথায় নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। এছাড়া আরও অন্য কোন ঘটনা ছিল কিনা,সেটাও তদন্ত করা হচ্ছে। নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতার মর্গে রাখা হয়েছে। তদন্তের পর আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।