নিউজ ডেস্ক: মুহুর্তে সব তছনছ হয়ে গেল শিশু মীমের। মাদারীপুরের শিবচরে পদ্মা নদীতে বালুভর্তি বাল্কহেডের সঙ্গে স্পিডবোটের ধাক্কায় শিশু মীমের বাবা, মা ও দুই বোন নিহত হয়। এখন আর শিশুটির পরিবারের কেউ বেঁচে নেই। প্রিয়জনদের হারিয়ে কান্না থামানো যাচ্ছে না শিশু মীমের। অবুঝ এই শিশুকে সান্ত্বনা দেওয়ার ভাষাও নেই স্বজন-প্রতিবেশীদের। শিশুটি এখন কীভাবে, কোথায় থাকবে, তার ভবিষ্যৎ কী হবে—এ নিয়ে এখন স্বজন-প্রতিবেশীরা চিন্তিত। মীমের কান্নায় চোখ ভিজে উঠছে তাদেরও।
সব জানার পর তেরখাদা উপজেলা চেয়ারম্যান শহীদুল ইসলাম বলেন, উপজেলা পরিষদ ও ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ থেকে এক সপ্তাহের মধ্যে মীমের জন্য ১ লাখ টাকা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এছাড়া মীম বড় হওয়া এবং তার বিয়ে দেওয়ার আগ পর্যন্ত আমরা তার ভরণপোষণের দায়িত্ব পালন করব বলে এলাকাবাসীর কাছে ওয়াদা দিয়েছি।
এদিকে, মীমের পরিবারের চার জনকে আত্মীয়স্বজন ও এলাকার হাজারো মানুষ চোখের জলে বিদায় দিয়েছেন। গতকাল মঙ্গলবার সকালে তেরখাদা উপজেলার পারোখালী গ্রামে জানাজা শেষে নিহত মনির শিকদারের মা লাইলী বেগমের কবরের পাশে তাদের দাফন করা হয়।