মানিকগঞ্জ : বিয়ের দাবিতে ১১ দিন ধরে প্রেমিকের বাড়িতে অবস্থান করছে প্রেমিকা। স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও মেয়ের অভিভাবকরা বিষয়টি সুরাহার চেষ্টা করলেও প্রেমিক মনিরসহ পরিবারের কোনো সাড়া মেলেনি।
ঘটনাটি মানিকগঞ্জের দৌলতপুর উপজেলার বহড়াবাড়ি গ্রামে। প্রেমিক মনির হোসেনের (২০) বাড়িতে অবস্থান করছেন নবম শ্রেণির এক ছাত্রী।
ওই গ্রামের মজিবুর রহমানের ছেলে মনির গাজীপুরের একটি পোশাক তৈরি কারখানায় কাজ করেন। পাশের তালুকনগর গ্রামের মেয়েটি স্থানীয় উচ্চ বিদ্যালয়ের ভোকেশনাল বিভাগের নবম শ্রেণির ছাত্রী।
জানা গেছে, প্রতিবেশীর শাড়ি পরে স্কুলছাত্রী মনিরের বাড়ির চৌচালা টিনের ঘরের বারান্দার চকিতে অবস্থান করছে। মনির ও পরিবারের কেউ নেই বাড়িতে।
প্রেমিকা স্কুলছাত্রীর কথা, বিদ্যালয়ের এক অনুষ্ঠানে তার সঙ্গে পরিচয়। চার বছর আগে মনিরের প্রেমের সম্পর্ক হয়। বছরখানেক আগে বিয়ের আশ্বাস দেয় মনির। সবকিছু নিয়েছে ও।
এক বছর আগে মনির এইচএসসি পরীক্ষায় ফেল করে গাজীপুরের একটি পোশাক তৈরি কারখানায় কাজ নেয়। মোবাইল ফোনে নিয়মিত যোগাযোগ হয়। ছুটিতে মেয়েটির বাড়িতে যেত মনির।
তিন মাস আগে মেয়েটিকে নিয়ে গাজীপুরের একটি পোশাক কারখানায় হেলপার পদে কাজ দেন মনির। বিয়ে না করেই স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে বাসা নেন তারা।
গত ৩০ সেপ্টেম্বর মনিরের কথামতো বিয়ের দাবিতে বাড়িতে এসে উঠেন ওই স্কুলছাত্রী। বাড়িতে আসলেও এখন পর্যন্ত মনিরের সঙ্গে তার দেখা ও কথা হয়নি। মনির ও তার পরিবারের লোকজন বাড়ি ছেড়ে পালিয়েছে।
এ অবস্থায় প্রতিবেশীরা তাকে পরনের কাপড় ও খাবার দিচ্ছেন। মনিরের সঙ্গে বিয়ে না হওয়া পর্যন্ত ওই বাড়িতেই অবস্থান করবে প্রেমিকা। অন্যত্থায় আত্মহত্যা ছাড়া কোনো পথ নেই বলেও সাংবাদিকদের জানায় ওই স্কুলছাত্রী।
প্রতিবেশীরা জানান, বিয়ের দাবিতে মেয়েটি বাড়িতে এসে উঠেছে। এটা দেখে মনিরের বাড়ির লোকজন পালিয়েছে। মেয়েটি যদি কোনো অপ্রত্যাশিত ঘটনা ঘটায় দায়ী কে হবে?
বিষয়টি স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের অবহিত করলে তারা সঠিক ব্যবস্থা করবেন বলে জানান মেয়েটির ভগ্নিপতি।
স্থানীয় কলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের ওয়ার্ড মেম্বার নুরুল ইসলাম জানান, উভয় পরিবারের লোকজন নিয়ে বিষয়টি সুরাহার চেষ্টা করা হলেও মনিরের পরিবারের কোনো সাড়া মেলেনি। তারা মেয়েটিকে বাড়ি রেখে পালিয়ে গেছে।
এ ব্যাপারে শিবালয় সার্কেল এএসপি হারুণ-অর রশিদ গণমাধ্যমকে জানান, মনিরের বাড়িতে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। মেয়েটির সঙ্গে কথা বলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
১০ অক্টোবর,২০১৫/এমটিনিউজ২৪/প্রতিনিধি/এমআর