নিউজ ডেস্ক: মানিকগঞ্জে চিকিৎসক ও নার্সদের অবহেলায় এক নবজাতকের মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। শুক্রবার রাতে মানিকগঞ্জ সদর হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে এ ঘটনা ঘটে।
উসামা নামে ওই মৃত শিশুটির বয়স মাত্র তিন দিন। এ বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
মৃতের বাবা আব্দুস সালাম জানান, গত বুধবার শহরের পদ্মা ক্লিনিকে উসামা জন্মগ্রহণ করেন। এরপর থেকে প্রচণ্ড কান্নাকাটি করে। কান্না করতে করতে শ্বাসকষ্টের সমস্যা হয়। শীতের মৌসুম হওয়ায় শ্বাসকষ্টের সঙ্গে সঙ্গে ঠাণ্ডাজনিত সমস্যা দেখা দেয়। এসব কারণে শুক্রবার বিকেল সোয়া ৫টার দিকে মানিকগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এ সময় হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত মেডিকেল অফিসার ডা. জুলহাস উদ্দিন নবজাতককে পরীক্ষা করার পর স্যালাইন ও অক্সিজেন দেয়ার কথা বলেন। পরে হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে ২৬ নম্বর বেডে ভর্তি করা হয়। দায়িত্বে থাকা নার্সের মধ্যে অজিফা আক্তার ও তাহমিনা ইয়াসমিন নামের দুই নার্স রাত ৭টার দিকে ওই নবজাতকের চিকিৎসা দিতে আসেন। চিকিৎসা দেয়ার সময় নার্স অজিফা ও তাহমিনা নবজাকতের বাবা আব্দুস সালামের কাছে টাকা চান। এ সময় নবজাতকের বাবা ওই দুই নার্সকে ১০০ টাকা দেন।
পরে তারা আরও টাকা দাবি করেন। কিন্তু নার্সদের টাকা দিতে না পারায় নবজাকতকে শুধু স্যালাইন দিয়ে চলে যান তারা। তখনও কাঁদছিল নবজাতক। এ সময় অক্সিজেন দেয়ার কথা বললে তারা বলেন, কোনো সমস্যা হবে না। সমস্যা হলে আমরা দেখব।
হঠাৎ রাত ১২টার দিকে নবজাতকের শরীর ঠাণ্ডা হয়ে যায়। এ সময় ডাক্তার ও নার্সদের কাছে বার বার যাওয়ার পরও তারা আসেননি। পরে নার্সরা চা-চানাচুর খাওয়ার জন্য টাকা দাবি করেন। তখন নবজাতকের বাবা আব্দুস সালাম বলেন, আমার কাছে টাকা নেই। আগে চিকিৎসা করেন পরে আপনাদের টাকা টাকা দেব। কিন্ত তারা শিশুটির চিকিৎসা দেননি। রাত দেড়টার দিকে নবজাতকের কান্না থেমে যায়। মারা যায় নবজাতকটি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে মানিকগঞ্জ সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) লুৎফর রহমান বলেন, যদি কোনো ডাক্তার বা নার্সের অবহেলার কারণে শিশুর মৃত্যু হয় তাহলে অবশ্যই তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এমটিনিউজ২৪.কম/টিটি/পিএস