মানিকগঞ্জের শিবালয়ে ভোট চাওয়ার কথা বলে গভীর রাতে এক গৃহবধূকে অনৈতিক প্রস্তাব দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে মেম্বার প্রার্থী মো. শরীফুল ইসলাম ও তার দুই সহযোগীর বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী গৃহবধূ থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
৬ষ্ঠ ধাপে অনুষ্ঠিতব্য ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ১নং তেওতা ইউনিয়নের ৩নং ওর্য়াড থেকে সদস্য পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন উপজেলার পুরান পয়লা এলাকার মৃত সাকিমের ছেলে শরীফ। এ ঘটনায় গৃহবধূকে বিষয়টি চেপে যাওয়ার জন্য ভয়-ভীতি দেখাচ্ছেন অভিযুক্ত প্রার্থী।
ভুক্তভোগী নারী বলেন, আমরা দ্ররিদ্র মানুষ। আমার স্বামী দিনমজুরের কাজ করেন। এ সুযোগে মেম্বার প্রার্থী আর্থিক সহায়তার কথা বলে বিভিন্ন সময় আমাকে অনৈতিক প্রস্তাব দিতেন। গত মঙ্গলবার রাতে শরীফ ও তার দুই সহযোগী সফিকুল ও রাশেদ সহায়তার কথা বলে শাররীক সর্ম্পকের প্রস্তাব দেন। আমি দরজা না খুলে তাদের চলে যেতে বলি। তারা আমার কথা না শুনে দরজা খুলতে বলেন। পরে ফোনে আমার আত্মীয়-স্বজনদের আসতে বললে তাদের উপস্থিতি টের পেয়ে তারা পালিয়ে যান। আর সফিকে আটক করা হয়।
ভুক্তভোগীর স্বামী বিল্লাল হোসেন বলেন, আমি খেটে খাওয়া মানুষ। কাজের কারণে ওইদিন বাহিরে ছিলাম। এ সুযোগে মেম্বার প্রার্থী শরীফ ও তার দুই সহযোগী আমার স্ত্রীকে কুপ্রস্তাব দেন। তিন সন্তানের মা আমার স্ত্রী যদি এদের হাতে নিরাপদ না থাকে তাহলে নির্বাচনের পর কি হবে বলেন। এখনও তারা আমাকে হুমকি-ধামকি দিচ্ছেন।
শিবালয় উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মাহাবুব রহমান জানান, আগামী ৩১ জানুয়ারি শিবালয় উপজেলার ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ইতিমধ্যে প্রার্থীদের বৈধ্যতার যাচাই বাছাই সম্পন্ন হয়েছে। যেহেতু ওই প্রার্থী এখনও কোর্টের মাধ্যমে সাজা হয়নি সে ক্ষেত্রে তার নির্বাচনে বাধা নেই। তবে ভোট চাওয়ার নামে প্রার্থীর এমন কর্মকাণ্ড দুঃখজনক।
অভিযুক্ত মেম্বার প্রার্থী শরীফুল ইসলাম জানান, নির্বাচনে আমাকে হেয় করার জন্য কারো কথা মতো ওই নারী আমার বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ করছেন। ঘটনার সাথে আমি জড়িত না।
এ বিষয়ে শিবালয় থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ফিরোজ কবির বলেন, এ বিষয়ে ভুক্তভোগী নারী থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন। বিষয়টি গুরুত্বসহ তদন্ত করা হচ্ছে। তদন্ত শেষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।