মানিকগঞ্জ : পরকীয়ার হিসাব নেই পুত্রবধূর। সেই স্ত্রীর পরকীয়ায় খুন হলেন তারই স্বামী। এ ঘটনায় স্ত্রী ও তার এক প্রেমিককে আটক করেছে মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া থানা পুলিশ।
জানা গেছে, উপজেলার রাধানগর গ্রামের নাজিমুদ্দিনের ছেলে আবদুল লতিফ (৪০) ও উত্তর কাউন্নারা গ্রামের আফাজ উদ্দিনের কন্যা আসমা বেগমের (৩০) সাথে ১৫ বছরের আগে বিয়ে হয়। তাদের ঘরে এক পুত্র ও এক কন্যা সন্তান রয়েছে। কিন্তু স্ত্রী আসমা বেগম পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েন। এ ঘটনায় খুন হন স্বামী লতিফ।
লতিফ পেশায় একজন কৃষক। গত শুক্রবার রাতে তিনি নিখোঁজ হন। গতকাল শনিবার বিকলে রাধানগর গ্রামে ভুট্টা ক্ষেতে স্থানীয়রা লতিফের মরদেহ দেখেতে পেয়ে সাটুরিয়া থানা পুলিশে খবর দেয়। পরে থানা পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে শনিবার সন্ধ্যায় তার লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মানিকগঞ্জ সদর হাসপাতালে পাঠায়।
সাটুরিয়া থানা সূত্রে জানা যায়, গতকাল রাতে মৃত লতিফের পিতা নাজিমুদ্দিন বাদী হয়ে পুত্রবধূ আসমা বেগম (৩০), তার প্রেমিক রাধানগর গ্রামের আমছের উদ্দিনের পুত্র সামছুল (৩৮) ও একই গ্রামের সমিজ উদ্দিনের পুত্র আব্দুল লতিফকে (৩৫) আসামি করে থানায় মামলা করেন।
এ ব্যাপারে সাটুরিয়া থানার সেকেন্ড অফিসার এসআই লুৎফর রহমান জানান, মামলা হওয়ার পর নিশ্চিত হওয়া গেছে যে, এ খুনের সাথে স্ত্রী আসমা বেগম ও তার দুই প্রেমিক আব্দুল লতিফ ও সামছুল জড়িত। পরে শনিবার গভীর রাতে রাধানগর গ্রামে অভিযান চালিয়ে স্ত্রী আসমা বেগম ও এক প্রেমিক আমছের উদ্দিনের পুত্র সামছুলকে (৩৮) আটক করা হয়।
তারা প্রাথমিক জিঙ্গাসাবাদে খুনের সাথে জড়িত থাকার বিষয়টি স্বীকার করেছে। অপর প্রেমিক আব্দুল লতিফকে আটকের চেষ্টা করা হচ্ছে। আটক স্ত্রী ও প্রেমিককে আগামীকাল সোমবার আইনি প্রক্রিয়া শেষে আদালতে পাঠানো হবে।
আব্দুল লতিফের পিতা নাজিমুদ্দিন জানান, দীর্ঘদিন ধরে গ্রামের একাধিক পুরুষের সাথে আসমা পরকীয়া করে আসছিল। এ নিয়ে এলাকায় একাধিকবার গ্রাম্য সালিশ হয়েছে। তারপরও পরকীয়া বন্ধ হয়নি। পুত্রবধূর ইন্ধনে তার দুই প্রেমিক লতিফ ও সামছুল আমার ছেলেকে খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে হত্যা করেছে। আমি এর বিচার চাই।
এ ব্যাপারে সাটুরিয়া থানার ওসি হাবিবুল্লাহ সরকার জানান, লাশের গায়ে অসংখ্য ছুরিকাঘাতের চিহ্ন রয়েছে। গতকাল রাতেই স্ত্রী ও তার এক প্রেমিককে আটক করা হয়েছে। অপর পলাতক প্রেমিক আব্দুল লতিফকে দ্রুত আটক করে আইনের আওতায় আনা হবে।
২১ ফেব্রুয়ারি, ২০১৬/এমটিনিউজ২৪/প্রতিনিধি/এমআর/এসএম