ময়মনসিংহ : এক রূপসীর পরকীয়ায় ৩ প্রেমিক। প্রতিদ্বন্দ্বী প্রেমিককে ফাঁসাতে গিয়ে তিনজনেই ধরা। সেই প্রেমিকার জন্য ময়মনসিংহের ভালুকা উপজেলা পরিষদ কার্যালয় ও নির্বাহী অফিসারের বাসভবন উড়িয়ে দেয়ার হুমকির দিয়েছিল। তারা এ ঘটনায় কথিত প্রেমিকাসহ ৪জনকে আটক করেছে ভালুকা মডেল থানা পুলিশ।
প্রতিদ্বন্দ্বী প্রেমিককে ফাঁসানোর জন্যই হুমকি দেয়া হয়েছে বলে জানায় পুলিশ।
মোবাইল ফোনের কললিস্টের সূত্র ধরে বৃহস্পতিবার রাতে ভালুকা মডেল থানা পুলিশ উপজেলার খারুয়ালী গ্রামের কালা মন্ডলের ছেলে মফিজ উদ্দিন (৩০), সিমের মালিক তফির উদ্দিনের ছেলে সুজন খান (২৫), ভালুকা পৌরসভার ৮নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা আবদুল কুদ্দুসের ছেলে শওকত ও প্রবাসী এনামুল হক রতনের স্ত্রী ফারহানা আক্তার রনিকে (২৬) আটক করেছে পুলিশ।
জিডির তদন্তকারী অফিসার এসআই ফায়েজুর রহমান জানান, সৌদি প্রবাসী রতনের স্ত্রী ফারজানা রনির সঙ্গে দীর্ঘদিন শওকতের পরকীয়া চলছিল।
গত কয়েক মাস কথিত প্রেমিকা শওকতকে বাদ দিয়ে সাবেক চেয়ারম্যান মৃত নূরু উদ্দিন মন্ডলের ছোট ভাই মফিজ উদ্দিনের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে।
শওকত তার প্রেমিকা রনির সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করার চেষ্টা চালায়। কিন্তু বিষয়টি মফিজ কোনোভাবেই মানে নিতে পারেননি।
প্রতিহিংসার বশবর্তী হয়ে মফিজ তার কথিত প্রেমিকার কাছ থেকে শওকতের দেয়া রবি কোম্পানির সিমটি নিয়ে শওকতকে ফাঁসানোর জন্য ইউএনও’র বাসভবন ও অফিস উড়িয়ে দেয়ার হুমকি দেয়।
রনির সঙ্গে পরকীয়া চলাকালীন শওকত তার গাড়ির ড্রাইভার সুজন খানের নিবন্ধন করা সিমটি প্রেমিকা রনিকে দিয়েছিল।
মফিজ ভেবেছিল, সিমটি শওকতের নামে নিবন্ধন করা। এ নম্বর থেকে হুমকি দিলে প্রশাসনের লোকজন শওকতকে আটক করবে এবং ফেঁসে যাবে।
এসআই ফায়েজুর রহমান জানান, বিকেলে আটক ৪জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ময়মনসিংহ পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
ভালুকা মডেল থানার ওসি মামুন অর রশিদ জানান, আকটকৃতদের পুলিশি হেফাজতে রেখে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।
প্রসঙ্গত, ইউএনও কামরুল আহসান তালুকদারের সরকারি মোবাইল নম্বরে ৯ আগস্ট বিকেল ৫টা ৩৮ মিনিটে ০১৮৩০-৮৪৫২৪০ নম্বর থেকে হুমকি দিয়ে বলা হয়, সোমবারের মধ্যে বোমা মেরে তার বাসভবন ও অফিস উড়িয়ে দেয়া হবে।
১২ আগস্ট,২০১৬/এমটিনিউজ২৪/প্রতিনিধি/এমআর/এসএম