ময়মনসিংহ থেকে: ময়মনসিংহের গৌরীপুরে গায়ে দাহ্য পদার্থ ঢেলে আগুন দিয়ে হালিমা আক্তার নামে এক নারী পুলিশ কনস্টেবল আত্মহত্যা করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। রোববার বিকেল ৩টার দিকে থানার নারী পুলিশ ব্যারাকে এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় গৌরীপুর থানা পুলিশের এসআই মিজানুল ইসলামকে ক্লোজড করা হয়েছে। পুলিশ সূত্রে জানা যায়, পুলিশের এসআই মিজানুল ইসলামের সঙ্গে ওই নারী কনস্টেবলের প্রেম ছিল।
হালিমা আক্তার নেত্রকোণা জেলার পূর্বধলা উপজেলার গৌরাকান্দা গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা হেলাল উদ্দিন আকন্দের মেয়ে। তিনি ২০১১ সালে পুলিশ বাহিনীতে যোগ দেন।
পুলিশ সূত্র জানায়, রোববার বিকেল ৩টার দিকে ডিউটি ছেড়ে ব্যারাকে যান হালিমা আক্তার। কিছুক্ষণ পরে ব্যারাক থেকে অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে প্রথমে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল নেয়া হয়।
সেখানে অবস্থার অবনতি হলে পরে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পথে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে ভালুকা উপজেলায় মহাসড়কে তার মৃত্যু হয়।
স্থানীয় সূত্র জানায়, এসআই মিজানুল ইসলামের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে এ নারী কনস্টেবলের প্রেমের সম্পর্ক ছিল বলে জানা যায়। ধারণা করা হচ্ছে, প্রেম সংক্রান্ত ঘটনার জের ধরেই শরীরে আগুন দিয়ে আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছেন তিনি।
গৌরীপুর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দেলোয়ার আহম্মদ হালিমা আক্তারের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, খবর পেয়ে ময়মনসিংহের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এস এ নেওয়াজী ও গৌরীপুর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সীমা রানী সরকার গৌরীপুর থানায় ছুটে আসেন।
এ সময় তারা থানায় ডিউটিরত এসআই মিজানুল ইসলামকে গাড়িতে করে ময়মনসিংহে নিয়ে যান। পরে তাকে ময়মনসিংহ পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়।
এ বিষয়ে গৌরীপুর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সীমা রানী সরকার বলেন, ঘটনার তদন্ত চলছে। জড়িত থাকলে তার (মিজানুল ইসলামের) বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এমটিনিউজ24ডটকম/এম,জে