ময়মনসিংহ থেকে : ময়মনসিংহ শহরের কালিবাড়ি থেকে সোমবার জঙ্গি সন্দেহে গ্রেপ্তারকৃত ৭ জনের মধ্যে একজন আল আমিন (২৪)। তিনি ময়মনসিংহ ধোবাউড়া উপজেলার বাঘবেড় ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি।
গ্রেপ্তারকৃত আল আমিন ধোবাউড়া উপজেলার বাঘবেড় ইউনিনের মুন্সিরহাট দিঘিরপাড় গ্রামের ইকবাল হোসেনের ছেলে। তিনি সব সময় উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান রনির সঙ্গে চলাফেরা করতেন। পরবর্তীতে চলাফেরা কমে যায়। এর আগে তিনি সারের ব্যবসা করতেন। কিন্তু ৬-৭ মাস আগে ব্যবসা ছেড়ে দেন।
গত ৬-৭ মাস ধরে হঠাৎ তার মাঝে কিছু পরিবর্তন লক্ষণ করা যায়। দাঁড়ি রেখে নামাজও পড়তেন। গত ২৪শে মার্চ থেকে তিনি নিখোঁজ ছিলেন। তার বাবার তেমন কোন জমিজমা নেই। তবে গত ২-৩ মাসে একটি মাছের হ্যাচারির ব্যবসা করেছেন। ব্যবসার পুঁজি কিভাবে সংগ্রহ করেছেন তা কারো জানা নেই। কোন জমি বিক্রি করার খবরও কারো কাছে নেই।
বাঘবেড় ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সৌরভ হোসেন মিলন জানান, আল আমিন আওয়ামী পরিবারের ছেলে। তার এক ভাই জাকির হোসেন ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি। তার চাচা মোফাখারুল হোসেন ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক ছিল। এই হিসেবে তাকে আমরা ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সহ সভাপতি পদ দেই। সে জড়িত থাকলে অবশ্যই দল থেকে বহিষ্কার সহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।
ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি জাকির হোসেন জানান, গ্রেপ্তারকৃত শহীদুল ইসলাম দুই বছর আগে মাছের খাদ্যের ব্যবসার কথা বলে আল আমিনকে নিয়ে যায়। উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান রনি বলেন, এক সময় ছাত্রলীগ করতো। ছাত্রলীগের বিভিন্ন প্রোগ্রামে যোগদান করতো। পরবর্তীতে দলের কার্যক্রম থেকে সরে যায়।
ধোবাউড়া থানা পুলিশ জানায়, আমরা খোঁজ-খবর নিয়েছি আল আমিন ছাত্রলীগ করতো। বাবা মাছের হ্যাচারির ব্যবসা করে। দুই ভাই-বোন রেখে মা অন্যত্র বিয়ে করে চলে যায়। বাবা পরে দ্বিতীয় বিয়ে করার পর আরো দুই সন্তান হয়। আল আমিন সৎ মায়ের ঘরেই বড় হয়েছে। দুই ভাই-বোনের মধ্যে আল আমিন ছোট। সহোদর বড় বোন বিবাহিত একজন স্কুল শিক্ষক বলে জানা গেছে।
এদিকে আটককৃতদেরকে পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ অব্যাহত রেখেছে। এমজমিন
০৫ এপ্রিল ২০১৭/এমটি নিউজ২৪/এসবি