 
                                        
                                        
                                       
                                        
                                             
                                                                                    
নিউজ ডেস্ক : গফরগাঁওয়ের ৫৩ শিক্ষার্থীর জীবনকে অনিশ্চয়তার মুখে ফেলে পালালেন রৌহা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মারুফ আহমেদ।
ময়মনসিংহের গফরগাঁও উপজেলার এই বিদ্যালয়ের ৫৩ জন শিক্ষার্থী প্রবেশপত্র না পাওয়ায় এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিতে পারেনি । পরীক্ষায় অংশ নিতে না পেরে অনেক শিক্ষার্থী পরীক্ষা কেন্দ্রের সামনে কান্নায় ভেঙে পড়েন।
এ ঘটনায় (১ ফেব্রুয়ারি ) সকালে ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা গফরগাঁও থানা ঘেরাও করেন।পরে দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়ে তাদের ফেরত পাঠানো হয়। এই খবরের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন গফরগাঁও থানার ওসি আব্দুল আহাদ খান।
গফরগাঁও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা বেলায়েত হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, ‘প্রবেশপত্র না পাওয়ায় রৌহা উচ্চ বিদ্যালয়ের ৩৭ জন এবং উথুরী নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ১৬ জন শিক্ষার্থী এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিতে পারেনি। বিষয়টি আমরা গতকাল বিকালে শুনেছি। তাই এ অল্প সময়ে তাদের পরীক্ষা দেওয়ার ব্যবস্থা করতে পারিনি।’
তিনি আরও বলেন, ‘২০১৬ সালেও পরীক্ষার আগের দিন রাতে রৌহা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মারুফ আহমেদ তার বিদ্যালয়ের পরীক্ষার্থীদের হাতে ভুয়া প্রবেশপত্র ধরিয়ে দেন। ২০১৭ সালে পরীক্ষার দুই ঘণ্টা আগে প্রবেশপত্র হাতে পায় একই বিদ্যালয়ের পরীক্ষার্থীরা।’ মারুফ আহমেদের বিরুদ্ধে এ বছর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে এই কর্মকর্তা জানান।
এসএসসি পরীক্ষার্থী উথুরা গ্রামের মিম, জান্নাত, শামছুন্নাহার, স্বর্ণা, ধামাইল গ্রামের হাজেরা ও ঝুমুর জানায়, তারা উথুরী নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ইয়াসমিন সুলতানা পপির মাধ্যমে রৌহা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ১৬ জন এসএসসি পরীক্ষার ফরম পূরণ করেন। কিন্তু যথাসময়ে পরীক্ষার প্রবেশপত্র না পাওয়ায় পরীক্ষায় অংশ নিতে পারছে না।
শিক্ষার্থীরা আরও জানায়, পরীক্ষার আগমুহূর্তে কোনো শিক্ষককেও খুঁজে পায়নি তারা। সবার মোবাইল ফোন বন্ধ রয়েছে।
অভিভাবক আলী হোসেন ও হোসেন মিয়া জানান, রৌহা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মারুফ আহমেদ উথুরী নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ১৬ জন শিক্ষার্থী এবং তার বিদ্যালয়ের ৩৭ জন শিক্ষার্থীর কাছ থেকে ফরম পূরণ বাবদ দুই হাজার ৫০০ টাকা করে নেন। প্রবেশপত্রের জন্য বুধবার রাতভর তারা থানা ও বিদ্যালয়ে দৌড়ঝাঁপ করেন। কিন্তু তারপরেও প্রবেশপত্র মেলিনি।
এ বিষয়ে উথুরী নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ইয়াসমিন সুলতানা পপি এবং রৌহা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মারুফ আহমেদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তাদের পাওয়া যায়নি।
অন্যদিকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শামীম রহমান বলেন, ‘শিক্ষার্থীরা পরীক্ষায় অংশ নিতে না পারার বিষয়টি দুঃখজনক। এ বিষয়ে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।’
এমটিনিউজ২৪.কম/টিটি/পিএস
 
  
                             
                                    
                 
  
                             
                                    
                 
  
                             
                                    
                 
  
                             
                                    
                