ময়মনসিংহ থেকে : মা জেলা বিএনপির সাবেক মহিলা বিষয়ক সম্পাদক আর মেয়ে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (বাকৃবি) ছাত্রলীগ শাখার সহ-সভাপতি। মা ইয়াসমিন আরা পঞ্চগড় জেলা বিএনপির সাবেক মহিলা বিষয়ক সম্পাদক। মেয়ে আফিফাত খানম রিতিকা ময়মনসিংহ অবস্থিত বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (বাকৃবি) ছাত্রলীগ শাখার সহ-সভাপতি।
তবে একজন জেলা বিএনপির সাবেক মহিলা বিষয়ক নেত্রীর মেয়ে ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি নির্বাচিত হয় এ নিয়ে দল ও সাধারন শিক্ষার্থীদের মাঝে সমালোচনা চলছে। বাকৃবি ছাত্রলীগ শাখার সহ-সভাপতি এম আনোয়ারুল হক অবাক।
তিনি জানান, ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগের অনেক ত্যাগী কর্মী থাকা সত্তেও পঞ্চগড় জেলা বিএনপির সাবেক মহিলা বিষয়ক সম্পাদক ইয়াসমীন আরা’র মেয়ে বিএনপি মনা আফিফাত খানম রিতিকা কে সংগঠনটির সহ-সভাপতি করা মোটেও ঠিক হয়নি।
রিতিকা ক্যাম্পাসে বিভিন্ন সময় ছাত্রদলের কর্মকান্ডে সক্রিয় ছিল বলেও দাবি তার। এ পদ নিয়ে সে বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষিকা হওয়ারও পায়তারা করছে। এটি দলের জন্য অনেক বড় ক্ষতির কারন। এ বিষয়ে কেন্দ্রীয় কমিটি বরাবর লিখিত আবেদনের কথাও জানান তিনি।
এটা আওয়ামীলীগের নীতি বহির্ভূত। এরা এক সময় দলের জন্য কাল হয়ে দাঁড়াবে। তাই অচিরেই কমিটি থেকে রিতিকা কে বহিষ্কারের দাবি জানান নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দুইজন ছাত্রলীগ নেতা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বাকৃবি ফিসারীজ ম্যানেজমেন্টের কয়েকজন শিক্ষার্থী জানান, আফিফাত খানম রিতিকা আমাদের ডিপার্টমেন্টে ২০১০-১১ সেশনে ভর্তি হয়ে মাস্টার্স শেষ করেছে। বিগত সময়ে তার ছাত্রদল এবং জামায়াত শিবিরের লোকজনের সাথে ভাল সম্পর্ক ছিল।
রিতিকার সাথে ঘনিষ্ট সম্পর্কতার কারনে শিবির কর্মী রায়হানকে শহীদ নাজমুল আহসান হলে আটকে রেখে মারধর করে ছাত্রলীগ কর্মীরা। সে এখন ছাত্রলীগের পদ নিয়েছে ফিসারীজ ম্যানেজমেন্ট অনুষদের শিক্ষক হওয়ার জন্য।
পদ পাওয়া আফিফাত খানম রিতিকা বলেন, আমার পরিবার কি করে তা দেখার বিষয় না। আমি ছাত্রলীগ করি তাই পদ পেয়েছি। এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মিয়া মোহাম্মদ রুবেলের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।
সংগঠনটির সভাপতি সবুজ কাজী জানান, রিতিকার পরিবার বিএনপি রাজনীতির সাথে জড়িত সেটা আমাদের জানা। তবে তাকে পদ দেওয়ার সাথে আমার কোন সংশ্লিষ্টতা নেই। সাধারণ সম্পাদকই একক ভাবে তাকে এ পদ দিয়েছে।
এমটিনিউজ/এসএস