ভাগ্যে না থাকলে খায় কে?
ময়মনসিংহ : ভাগ্যে না থাকলে খায় কে? সব আয়োজন সম্পন্ন হলেও বর না আসায় সেই বিয়ের খাবার খেয়েছেন প্রতিবেশীরা। উভয়পক্ষ অতি গোপনে বিয়ের আয়োজন করলেও টের পেয়ে যায় এলাকাবাসী। বয়সে ছোট, তাই বাদ সাধে এলাকাবাসী। এলাকাবাসী আপত্তি জানালেও বিয়ে বন্ধ রাখেননি মেয়ের বাবা। বরপক্ষের জন্য সব ধরনের খাবার আয়োজনও করেন তিনি।
ঘটনাটি ময়মনসিংহের নান্দাইলের পল্লীতে। এলাকাবাসীর হস্তক্ষেপে বন্ধ যায় পঞ্চম শ্রেণির এক ছাত্রীর বিয়ে। শুক্রবার উপজেলার চরলক্ষ্মীদিয়া গ্রামে পঞ্চম শ্রেণির সদ্য সমাপনী পরীক্ষার্থীর বিয়ের আয়োজন করা হয়।
জানা গেছে, উপজেলার বেতাগৈর ইউনিয়নের চরলক্ষ্মীদিয়া গ্রামের কৃষক রফিকুল ইসলাম তার ৫ম শ্রেণি পড়ুয়া কন্যা কুলসুমের বিয়ে ঠিক করেন পাশের চরশ্রীরামপুর গ্রামের মৃত ফখর উদ্দিনের ছেলে মো. শওকত আলীর (২৫) সঙ্গে।
উভয়পক্ষ অতি গোপনে বিয়ের আয়োজন করলেও টের পেয়ে এলাকাবাসী সকাল থেকেই বিয়ে না দেয়ার অনুরোধ করে পরিবারকে। পরে নান্দাইল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে মোবাইল ফোনে বিষয়টি অবহিত করা হয়। একপর্যায়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে বিয়ে বন্ধ করে দেয়। বিয়ে বন্ধের পর বর পক্ষ না আসায় তাদের জন্য আয়োজন করা খাবার প্রতিবেশীদের ডেকে খাওয়ানো হয়।
মেয়েটির বাবা জানান, ছেলের পরিবার আত্মীয় হওয়ায় তাদের পীড়াপীড়িতে মেয়ের বিয়েতে রাজি হন তিনি। এলাকাবাসীর হস্তক্ষেপ ও আইনের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে বিয়ে বন্ধ করে দেন।
তিনি বলেন, ১৮ বছর না অইলে আর বিয়া দিতাম না। শিশুটির বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. সানাউল্লাহ জানান, মেয়েটি অত্যন্ত মেধাবী। ছাত্রীটির ভালো ফলাফলের ব্যাপারে আশাবাদী তিনি।
নান্দাইল থানা পুলিশ জানায়, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে বাল্যবিয়ে বন্ধ করা হয়েছে। মেয়ের বাবা বিয়ে না দেয়ার অঙ্গীকার করেছেন।
৪ ডিসেম্বর,২০১৫/এমটিনিউজ২৪/প্রতিনিধি/এমআর
�