ত্রিশাল (ময়মনসিংহ): ময়মনসিংহের ত্রিশালে সরকারি নজরুল একাডেমির প্রধান শিক্ষক ও উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক মেছবাহ উদ্দিনকে আটক করেছে ত্রিশাল থানা পুলিশ।
রবিবার রাতে স্থানীয় সাবিনা ইয়াসমিন সোমার অভিযোগের প্রেক্ষিতে আটক করা হয়েছে বলে জানান ত্রিশাল থানা অফিসার ইনচার্জ আজিজুর রহমান।
মামলার বিবরণীতে জানা যায়, নজরুল একাডেমির ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী রহিমা আক্তার কথা স্কুল থেকে ছাড়পত্র চাইতে গেলে তিনি উৎকোচ দাবিসহ ছাড়পত্র না দিয়ে শিক্ষার্থীকে হয়রানি করে। অপমান আর মনের কষ্ট সইতে না পেরে বিষপান করে আত্বহত্যা করার চেষ্টা করলে তার পরিবারের সদস্যরা ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। এরই প্রেক্ষিতে শিক্ষার্থী কথার বড় বোন সোমা বাদী হয়ে ত্রিশাল থানা একটি অভিযোগ দায়ের করে। সোমবার সকালে ত্রিশাল থানায় মামলা রুজু করে আসামিকে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
মামলার বাদী সোমা জানান, আমার ছোট বোনের ছাড়পত্র দিতে স্কুলের প্রধান শিক্ষক হয়রানি করতে থাকে। ছাত্রপত্র না দিয়ে উল্টো আমার বোনকে কুপ্রস্তাব দেওয়ায় অপমান সহ্য না করতে পেরে বিষপান করে। এখন আমার বোন ময়মনসিংহ মেডিক্যাল চিকিৎসাধীন।
এ ব্যাপারে সরকারি নজরুল একাডেমির প্রধান শিক্ষক মেছবাহ উদ্দিন বলেন, কথা আমার বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী। সে ষষ্ঠ শ্রেণি থেকে ৭ম শ্রেণিতে উত্তীর্ণ হওয়ার প্রত্যয়ন পত্র চাইলে আমি তাকে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ না করে প্রত্যয়ন দেওয়ার কোনো নিয়ম নেই বলে জানিয়ে দেই। পরীক্ষার সময় তাকে বলা হলেও সে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ না আমাকে অসৎ উপায় অবলম্বন করে তাকে উত্তীর্ণ দেখানোর ব্যাপারে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। এ প্রস্তাবে আমি রাজি না হওয়া ও অনিয়মের মাধ্যমে প্রত্যয়নপত্র না দেওয়ায় আমার বিরুদ্ধে এরকম মিথ্যে অভিযোগ দেওয়া হয়েছে।
মামলার তদন্তকারী কমকর্তা মাহমুদুল হাছান জানান, অভিযোগের প্রেক্ষিতে আসামিকে আটক করা হয়েছে। ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী কথা বর্তমানে ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে। কর্তব্যরত চিকিৎসক জানিয়েছে সে আননোন পয়জনিং গ্রহণ করেছে। মামলা তদন্ত করে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উল্লেখ্য যে গত সেপ্টেম্বর মাসে নজরুল একাডেমির ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী রহিমা আক্তার কথা গণধর্ষণ হওয়ার অভিযোগে ত্রিশাল থানায় একটি মামলা তদন্তাধীন রয়েছে।