ময়মনসিংহ: “আমার আগমনে শিক্ষার্থীদের লাইনে দাড় করালেই কঠোর ব্যবস্থা “- এমনটাই ঘোষণা দিলেন নবনির্বাচিত এমপি আনোয়রুল আবেদীন খান তুহিন। সোনার বা রুপার ক্রেস্ট দিয়ে সংবর্ধনা না দিতে, শিক্ষার্থীদের লাইন করিয়ে দাঁড় না করানো ও সাধারণ মানুষকে ‘স্যার’ সম্বোধন না করাসহ আটটি অনুচ্ছেদ দিয়ে বিশেষ অনুরোধসংবলিত একটি লিফলেট বিতরণ করে আবারও আলোচনায় এসেছেন ময়মনসিংহ-৯ নান্দাইল আসনের এমপি আনোয়রুল আবেদীন খান তুহিন। এ ধরনের অভিনব প্রচারপত্র এর আগে কোনো সাংসদকে ছাড়তে দেখা যায়নি। আগের সাংসদদের সংবর্ধনা না দিলে অনেক ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান পড়ত রোষানলে।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও সাধারণ জনতার হাতের লিফলেট দেখে জানা যায়, পুরো পৃষ্ঠার প্রথম বিবরণীতে আনোয়ারুল আবেদীন খান তুহিন তাঁকে সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচিত করার জন্য ভোটারদের সাধুবাদ জানিয়েছেন। এরপর আটটি অনুচ্ছেদে বিভিন্ন বিষয় যুক্ত করে তা মেনে চলার জন্য সকলকে অনুরোধ জানিয়েছেন।
এর মধ্যে সংবর্ধনা দেওয়ার সময় ক্রয়কৃত ফুলের তোড়া, ক্রেস্ট, স্বর্ণ বা রুপার তৈরি নৌকা বা কোটপিন, স্তুতি বাক্যে ভরা মানপত্র প্রদান করা যাবে না। পূরণ করার মতো কোনো দাবি থাকলে প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে কেবলমাত্র লিখিতভাবে জানালেই চলবে। রাজনৈতিক সংগঠন বাদে বেসরকারি সংগঠন বা স্থানীয় সরকারের কোনো প্রতিষ্ঠান জনগণের টাকা খরচ করে তাঁকে (সাংসদ) স্বাগত জানানোর জন্য তোরণ নির্মাণ করতে পারবে না। তাঁকে স্বাগত জানানোর জন্য শিক্ষার্থীদের লাইন করে দাঁড় করিয়ে রাখলে তিনি সেই অনুষ্ঠান বয়কট করবেন। তাঁর কোনো অনুষ্ঠানে জনগণের অর্থে বোতলজাত পানি ও মুখরোচক খাবার সরবরাহ করা যাবে না। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের দিয়ে কোনো দাবি উত্থাপন না করিয়ে সরাসরি কর্তৃপক্ষ বা অভিভাবকদের মাধ্যমে তা জানানোর অনুরোধ করেছেন। এ ছাড়া সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী ছাড়া সাধারণ মানুষ তাঁকে যেন ‘স্যার’ বলে সম্বোধন না করেন, সে জন্য তিনি বিশেষভাবে অনুরোধ করেছেন।
এ বিষয়ে সাংসদ মো. আনোয়ারুল আবেদীন খান বলেন, আমি অল্প বয়সে জনতার বিপুল রায় পেয়েছি। তাঁদের এই রায় মেনেই প্রভু বা জমিদারের মতো কাজ কর্ম করতে চাই না। আমি তাঁদের সেবক হতে চাই। তাই সেবককে কেউ তোষামোদ করুক তা আমি চাই না।