ময়মনসিংহ: গৌরীপুর উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ইশতিয়াক মোশারফ আবু নাছেরের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন - ছবি : নয়া দিগন্ত
ময়মনসিংহের গৌরীপুরে আবু নাছের আল দুসারি (৪৫) নামে এক সৌদি নাগরিকের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আবু নাছেরের পাসপোর্ট সূত্রে জানা গেছে, তিনি সৌদি আরবের দাম্মাম নগরীর বাসিন্দা। তার বাবার নাম ফালেহ।
বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার ডৌহাখলা ইউনিয়নের ডৌহাখলা গ্রামের আবু সাইদ সানির বাড়ি থেকে ওই ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করা হয়।
এ ঘটনায় বাড়ির মালিক ডৌহাখলা গ্রামের করম আলীর পুত্র আবু সাইদ সানিকে পুলিশ আটক করেছে।
স্থানীয়রা জানান, সানির ওই বাড়িটি ছিল নিয়মিত মাদকের আখড়া। ওই বাড়িতে প্রতিনিয়ত অচেনা মানুষের আনাগোনা ছিল।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আবু সাঈদ সানির সাথে প্রায় ২০ বছর আগে আবু নাছের আল দুসারির ঢাকায় পরিচয় হয়। ওই পরিচয়ের সূত্র ধরেই আবু নাছের আল দুসারি অবকাশ যাপনের জন্য গৌরীপুরে যাতায়াত করতেন। গত বছরের ৯ ডিসেম্বর সৌদি নাগরিক আবু নাসের পুনরায় সানির বাড়ি ডৌহাখলা গ্রামে আসেন। এরপর থেকেই তারা দুইজন একসাথে বসবাস করছেন।
বৃহস্পতিবার রাতে আবু নাছেরের মৃত্যুর খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে স্থানীয়রা গিয়ে দেখেন, সানির শোয়ার ঘরের বিছানায় আবু নাছেরের লাশ পড়ে আছে। আর মদ্যপ অবস্থায় সানি লাশের পাশে বসে বিলাপ করছেন।
কিন্তু কি কারণে আবু নাছেরের মৃত্যু হয়েছে সেটি কেউ নিশ্চিত ভাবে বলতে পারছিলেন না।
পরে খবর পেয়ে গৌরীপুর থানার ওসি আবদুল্লাাহ আল মামুনের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করেন। এসময় পুলিশ বাড়ির মালিক সানিকেও আটক করে।
এর আগে রাত ১১টার পর গৌরীপুর উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ইশতিয়াক মোশারফ ঘটনাস্থলে এসে আবু নাছেরের স্বাস্থ্য পরীক্ষা তার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন। ইশতিয়াক মোশারফ বলেন, সৌদি নাগরিকের অনেক আগেই মৃত্যু হয়েছে। তবে কি কারণে মৃত্যু হয়েছে সেটা ময়নাতদন্ত না করে বলা যাচ্ছে না।
ওসি আবদুল্লাাহ আল মামুন বলেন, লাশ ময়না তদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসাপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। আবু নাছেরের মৃত্যুর কারণ উদঘাটনের চেষ্টা চলছে।
এছাড়াও রাতেই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন গৌরীপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফারহানা করিম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (গৌরীপুর সার্কেল) শাখের হোসেন সিদ্দিকীসহ ঊধ্বর্তন কর্মকর্তারা। আজ শুক্রবার সকালে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত কোনো মামলা রুজু হয়নি।