ময়মনসিংহ থেকে : সবাই যাতে মাংস পান সেই কথা বিবেচনা করে এক হাজার তিনশ বাড়িতে কোরবানির মাংস পাঠানো হয়েছে। পশু কোরবানির পর সোমবার বিকেল থেকে এ মাংসের ভাগাভাগি শুরু হয়।
ময়মনসিংহের মুক্তাগাছায় এ ঘটনা ঘটেছে। পৌর শহরের ঈশ্বরগ্রামে এই সামাজিক কোরবানির মাংস তৈরি ও বিতরণ চলছে দীর্ঘদিন ধরে। স্থানীয় ধনী-গরিব সবাই এই মাংসের অংশীদার।
আয়োজকরা জানান, ঈশ্বরগ্রাম এবং সংলগ্ন এলাকায় যারা পশু কোরবানি দেন, তারা প্রতিটি পশুর মাংসের তিন ভাগের এক ভাগ জমা দেন এই সামাজিক ভাগ-বণ্টনে। এই সমাজভুক্ত প্রত্যেকের বাড়ির জন্য একজন করে ভাগীদার ধরে মাংস ভাগ করা হয়।
এবার সামাজিক কোরবানির মাংস দুই হাজার ভাগ করা হয়েছে। স্থানীয় মসজিদ থেকে মাইকিং করে আওতাভুক্ত মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষদের ডেকে এনে মাংস বিতরণ করা হয়।
বাংলাদেশে এমন অনেক গ্রাম আছে, যেখানে মসজিদ কমিটির মাধ্যমে কোরবানি হয়। কোরবানির মাংস যাতে সমাজের সবার ঘরে পৌঁছায়, সে জন্য মাংস তিন ভাগের এক ভাগ মসজিদ চত্বরে জমা দিতে বলা হয়।
কেউ এই নিয়মের ব্যতিক্রম করলে তাকে সমাজের কমিটির কাছে জবাবদিহির ব্যবস্থা রয়েছে। মসজিদ চত্বরে জমা দেয়া মাংস আশপাশের প্রতিটি পরিবারকে একক ধরে ভাগ করা হয়। ধনী-গরিব সবাই সমান হারে ভাগ পায়। এই নিয়মে কোরবানির মাংস বণ্টনের ফলে কোরবানির দিন কেউ মাংস পাওয়া থেকে বাদ পড়ে না।