ময়মনসিংহ থেকে : পেঁয়াজের দাম নিয়ে নতুন করে জানান দেওয়ার কিছু নেই। দেশের অন্যান্য জায়গার মতো ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ে একই অবস্থা। এই নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের দাম ইতোমধ্যে অনেকেরই ক্রয় ক্ষমতার বাইরে চলে গেছে।
এমনকি বাজার ঘুরতে গিয়ে দুজন ভিক্ষুকেরও দেখা মেলে যারা টাকা চাইছেন না, পেঁয়াজ ভিক্ষা চাইছেন। গফগাঁওয়ের পাইকারী বাজারে প্রতি কেজি পেঁয়াজ ১৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। খুচরা বাজারে বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকা কেজি দরে।
পেঁয়াজের অস্বাভাবিক মূল্যে ক্রেতারা হতাশা প্রকাশ করছেন। তবে ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, চাহিদার তুলনায় বাজারে আমদানি কম থাকায় এই উচ্চমূল্য। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে গফরগাঁও বাজার ঘুরে দেখা যায়, অধিকাংশ দোকানে পেঁয়াজ নেই।
দুই একটি দোকানে অল্প পরিমাণে দেশি পেঁয়াজ থাকলেও প্রতি পাঁচ কেজি বিক্রি হচ্ছে ৯০০ টাকা দরে। এ পেঁয়াজ খুচরা বাজারে বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকা কেজি দরে। খুচরা ব্যবসায়ী মীর আবু হোসেন বলেন, বুধবারও প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ১৫০ টাকা দরে।
এক দিনের ব্যবধানে কেজি প্রতি প্রায় ৪০ টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে। কিছুই করার নেই। পেঁয়াজের আমদানি খুব কম। দেশি পেঁয়াজ ছাড়া বাজারে কোনো পেঁয়াজ নেই। যে অবস্থা দেখা যাচ্ছে, পেঁয়াজের মূল্য আরও বৃদ্ধি পেতে পারে।
পাইকারি বিক্রেতা কামরুল ইসলাম বলেন, প্রতিদিন আমার ১০০ বস্তা পেঁয়াজের চাহিদা। কিন্তু এই ক্রাইসিসের সময় আমদানি করা যায় মাত্র ৪০ বস্তা পেঁয়াজ। বিদেশি পেঁয়াজ যেগুলো দেশে আসছে তা ঢাকা-চট্টগ্রামেই শেষ হয়ে যায়। মফস্বলে সে পেঁয়াজ আসে না।
এ সময় দুই নারী ভিক্ষুক এসে বলেন, ‘আল্লারস্তে দুইডা পিয়াজ ভিক্কা দেইন্নীগো বাবা।’ দোকানি ভিক্ষুকদের দুই টাকা করে দিতে চাইলেও তারা টাকার বদলে পেঁয়াজ চান। পরে একটি করে পেঁয়াজ দিয়ে তাদের বিদায় করা হয়।
স্থানীয় এক ডিগ্রি কলেজের প্রভাষক গোলাম মোহাম্মদ ফারুকী বলেন, ভাবা যায় প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকা দরে! মানুষ শাক-সবজি কিনবে, না পেঁয়াজ কিনবে?
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কাজী মাহবুব উর রহমান বলেন, বাজার মনিটরিংয়ের ব্যাপারে আমাদের কাছে কোনো নির্দেশনা আসেনি।