ময়মনসিংহ: মাছের পোনা বিক্রেতা ও শুটকির দোকানদার আবুল হোসেনকে এলাকায় সবাই চিনে ‘সুদি আবুল’ হিসেবে। অল্প কিছু দিনের মধ্যেই তিনি হয়ে উঠেন কোটিপতি। অঢেল সহায় সম্পদের মালিক হলেও একমাত্র ছেলে মানিক মিয়া ছিলেন সব কিছুতেই অবহে'লিত ও ব'ঞ্চি'ত।
এ অব'স্থায় স'ম্প্রতি নিজের বেশ কিছু সহায় সম্পদ ছেলেকে না দিয়ে তিন মেয়ের মধ্যে ব'ন্টন করে দেয়। এতে ব'ঞ্চি'ত ছেলে মানিক প্রতি'বাদ করেও কোনো ফলাফল না পেয়ে ক্ষো'ভে ক'ষ্টে বি'ষপান করে আ'ত্মহ'ত্যা করেন। এ ধরনের ঘ'টনা ঘ'টেছে ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার রাজিবপুর ইউনিয়নের রাজিবপুর গ্রামে।
স্থানীয় সূ'ত্র জানায়, আবুল হোসেনের তিন মেয়ে ও একমাত্র ছেলে মানিক মিয়া (২৫)। নিজের সহায় সম্পদ বলতে কিছু না থাকলেও এলাকায় ঘু'রে মাছের পোনা বিক্রি ছাড়াও স্থানীয় বাজারে শুটকির ব্যবসা করতেন। এ অবস্থায় অল্প কিছু দিনের মধ্যে আলাদিনের চেরাগ হাতে পেয়ে যান। মোটা অঙ্কের সু'দে টাকা ধা'র দেওয়া শুরু করেন এলাকায়। এতে গত ১০ বছরে তিনি হয়ে যান কোটিপতি। এলাকার মানুষ সুদের টাকা দিতে না পারলে নিজের নামে লিখে নেন সহায় সম্পদ।
এলাকার লোকজন জানান, এত সহায় সম্পদের মালিক হলেও নিজের ছেলেকে তু'চ্ছতা'চ্ছি'ল্য করে দূ'রে স'রিয়ে রাখেন। বাবা-ছেলের মাঝে এ ধরনের ঘ'টনায় বেশ কয়েকবার সা'লি'স দরবারের ঘ'টনাও ঘ'টে। কিন্তু সব সময়েই ছেলে ব'ঞ্চি'ত হয়ে আসে সবকিছু থেকে।
এ অব'স্থায় স'ম্প্রতি আবুল হোসেন নিজের সহায় সম্পদের বেশ কিছু অংশ তিন মেয়ের নামে লিখে দেন। এতে ছেলে প্রতি'বাদ করলে তাকে বিভিন্ন ক'টু'ক্তি করে অপ'মানিত করে। এর মধ্যে গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে ক্ষু'ব্ধ ও অপ'মানিত ছেলে মানিক সকলের অ'জা'ন্তে বি'ষপা'ন করে। পরে গু'রুতর আ'হ'ত অব'স্থায় উ'দ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠালে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ শুক্রবার বিকেলে মা'রা যান।
স্থানীয়রা মনে করছেন সকল সহায় সম্পত্তি থেকে ব'ঞ্চি'ত করলেই ক্ষো'ভে ক'ষ্টে মানিক আ'ত্মহ'ত্যার পথ বে'ছে নেয়। জানা যায়, মানিক বিবাহিত ও তিন মেয়ের বাবা।
নিহ'ত মানিকের বাবা আবুল হোসেন জানান, স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বিরো'ধের কারণেই তাঁর ছেলে বি'ষপা'নে আ'ত্মহ'ত্যা করে থাকতে পারে। নিজের সহায় সম্পদ নিয়ে কোনো বি'রো'ধ ছেলের সঙ্গে তাঁর ছিল না।