ময়মনসিংহ: দুপুরের ত'প্ত রোদ। এর মধ্যেই ময়মনসিংহ-কিশোরগঞ্জ মহাসড়ক ধরে হাঁটছিলেন এক ব্যক্তি। হাতে প্ল্যাকার্ড। তাতে লেখা দা'বি—সিলেটের এমসি কলেজের ছাত্রাবাসে স্বামীকে আ'টকে স্ত্রীকে ধ'র্ষণকারীদের ফাঁ'সি চাই।
আজ রোববার এভাবে প্র'তিবাদ কর্মসূচি পালন করেন ময়মনসিংহের নান্দাইল শহীদ স্মৃতি আদর্শ ডিগ্রি কলেজের সাবেক শিক্ষক আফেন্দি নুরুল ইসলাম। তাঁর বাড়ি নান্দাইলের তুরুন্তিপাড়া গ্রামে। এলাকাবাসীর কাছে তিনি প্র'তিবাদী আফেন্দি স্যার নামে পরিচিত।
এলাকার কয়েকজন জানান, আফেন্দি নুরুল ইসলাম ছাত্রজীবন থেকে নানা অসংগতির প্র'তিবাদ জানিয়ে আসছেন। বর্তমানে তিনি অবসর জীবন যাপন করছেন। বয়স ৭৪ বছর চললেও তিনি প্র'তিবাদ থামাননি। আফেন্দি নুরুল ইসলাম নান্দাইলের মানুষের কাছে প্র'তিবাদী আফেন্দি স্যার হিসেবে পরিচিত। তাঁকে আমরা সাদা মনের মানুষ বলে জানি।
রোববার বেলা দুইটার দিকে আফেন্দি নুরুল ইসলাম নান্দাইল নতুন বাজার এলাকায় ময়মনসিংহ-কিশোরগঞ্জ মহাসড়ক ধরে হাঁটছিলেন। তাঁর হাতে প্ল্যাকার্ড। এতে তিনি সিলেটের এমসি কলেজের ধ'র্ষণকারীদের কুকুর বলে অভিহিত করেছেন। এতে লেখা—প্রিয় দেশবাসী, নিরীহ শান্তশিষ্ট উপকারী চারপেয়ে কুকুর হ'ত্যা করবেন না। বরং দোপেয়ে ধর্ষ'ক কুকুরের হাত থেকে মা-বোনদের রক্ষা করুন।
আফেন্দি নুরুল ইসলাম জানালেন, সিলেটের এমসি কলেজের ছাত্রাবাসে ধ'র্ষণের ঘ'টনার প্রতি'বাদে তিনি আজ বেলা সাড়ে ১১টার দিকে প্ল্যাকার্ড নিয়ে বের হন। প্রায় তিন ঘণ্টার বেশি তিনি বিভিন্ন সড়ক ও মহাসড়ক ধরে হাঁটেন। এ সময় তিনি পথচারীদের হাতে লিফলেট তুলে দেন। এটি তাঁর একাকী প্রতিবাদের ১১৩তম কর্মসূচি।
আফেন্দি নুরুল ইসলাম বলেন, ‘অন্যায়-অবিচার দেখলে ঘরে বসে থাকতে পারি না। বিবেকের তাড়নায় বয়স উপেক্ষা করে সড়কে চলে আসি। আমি চাই, দেশে ন্যায় প্রতিষ্ঠিত হোক। মানুষ কথা বলুক। অত্যাচারী সাজা পাক।’
কয়েকজন পথচারী জানান, তাঁরা আফেন্দি নুরুল ইসলামকে চেনেন। দেশে কোনো অন্যায়-অবিচার ঘ'টলে তাঁকে প্ল্যাকার্ড হাতে সড়কে একা হেঁটে প্র'তিবাদ জানাতে দেখা যায়। তাঁর কথা হয়তো দেশের নীতিনির্ধারকদের কান পর্যন্ত পৌঁছায় না। তবু তিনি প্র'তিবাদ জানিয়েই যাচ্ছেন।
জানতে চাইলে নান্দাইল শহীদ স্মৃতি আদর্শ ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ মো. নাজিম উদ্দীন বলেন, ‘আফেন্দি নুরুল ইসলাম নান্দাইলের মানুষের কাছে প্র'তিবাদী আফেন্দি স্যার হিসেবে পরিচিত। তাঁকে আমরা সাদা মনের মানুষ বলে জানি।’