নান্দাইল (ময়মনসিংহ): ময়মনসিংহের নান্দাইলে হিল্লা বিয়ের নামে পাঞ্জেখানায় এক সাব-কাজির লালসার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। ওই ঘটনার প্রতিবাদে মঙ্গলবার সন্ধ্যার পর বাঁশহাটি বাজারে নান্দাইল চৌরাস্তা-কেন্দুয়া রোডের ওপর সাব-কাজি আরিফ রাব্বানীর বিচারের দাবিতে মানববন্ধন করেন এলাকাবাসী।
আরিফ রাব্বানী উপজেলার চণ্ডীপাশা ইউনিয়নের বাঁশহাটি বাজার সংলগ্ন এলাকার মৃত আলী আকবর মাস্টারের পুত্র। তিনি নিজের এলাকায় গড়ে তুলেছেন একটি পাঞ্জেখানা। তবে মসজিদ হিসেবে প্রচার হলেও তাতে নিয়মিত নামাজ আদায় করা হয় না। সেখানে প্রতিদিন সকালে শিশুদের আরবি শিক্ষা দেওয়া হয়।
স্থানীয় ও ভিডিও সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার চণ্ডীপাশা ইউনিয়নের বাঁশহাটি বাজার সংলগ্ন এলাকার ওই পাঞ্জেখানায় সাব-কাজি হাফেজ আরিফ রাব্বানী ওরফে শাহজাহান (৫০) এক গৃহবধূর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক করেছে।
এলাকাবাসী জানান, এক সপ্তাহ আগে ওই গৃহবধূকে তার স্বামী রাগের বশে তিন তালাক দেন। পরে তার স্বামী ভুল বুঝতে পারায় ওই গৃহবধূ আরিফ রাব্বানীর কাছে পরামর্শ চান। পরে ওই কাজি গৃহবধূকে হিল্লা বিয়ের পরামর্শ দেন। এতে ওই গৃহবধূ তাকেই বিয়ে করতে রাজি হন। পরে তিনি কৌশলে গৃহবধূকে পাঞ্জেখানায় নিয়ে শারীরিক সম্পর্ক করেন।
আর এ ঘটনাটি কে বা কারা গোপনে ভিডিও ধারণ করে তা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচার করে দেয়। বর্তমানে হাফেজ আরিফ রাব্বানী ওরফে শাহজাহান এ ঘটনার পর থেকে পলাতক রয়েছেন। পরে বিষয়টি এলাকায় জানাজানি হলে আলোচনা ও সমালোচনার ঝড় উঠে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক স্কুলছাত্র জানায়, এ মসজিদে গত এক সপ্তাহ ধরে এক নারী হুজুরের কাছে আসেন। অনেকক্ষণ মসজিদে থেকে আবার চলে যান। প্রথমে বিষয়টি কিছু বুঝতে না পারলেও একদিন আড়ালে থেকে দেখতে পায় ওই নারীকে নিয়ে টানাটানি করেন হুজুর। পরে আরেক দিন ওতপেতে মসজিদের পেছনে গিয়ে একটি ফাঁক দিয়ে মোবাইলের ভিডিও চালু রেখে কিছুক্ষণ ধরে রাখি। পরে দেখা যায় ওই নারীর সঙ্গে হুজুর আপত্তিজনক অবস্থায় মেলামেশা করছেন। পরে ঘটনাটি অনেককেই জানানো হয়।
স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এমদাদুল হক ভূঁইয়া ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, এ ঘটনায় অচিরেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।