ময়মনসিংহ: জমি লিখে না দেয়ায় ঘুমন্ত মা মোছা. মঞ্জিলা বেগমকে (৮২) জবাই করে হত্যা করা সেই ছেলে আবু তালেব (৪৮) এখন পাগল। অবশ হয়েছে দুই পা। দুই বছর ছিলেন পাবনার মানসিক হাসপাতালে।
দুই বছর চিকিৎসা শেষে মঙ্গলবার (৯ মার্চ) ময়মনসিংহ আদালতে হাজির করা হয় আবু তালেবকে। আদালতে হাজিরার পর পঙ্গু আবু তালেব সিঁড়ি দিয়ে হামাগুঁড়ি দিয়ে নামছিলেন। নামার সময় মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক আব্দুছ ছাত্তারকে দেখেই বলতে থাকেন, ‘স্যার আমাকে কেউ দেখতে আসে না, আমার ছবি তুলেন। মাকে হত্যা করার কারণে আজ আমার এই অবস্থা, সবাইকে দেখান। কেউ যেন এমন পাপ কাজ আর না করে।’
এ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক আব্দুছ ছাত্তার বলেন, ‘মাকে হত্যা করে এখন তিনি অনুতপ্ত। গতকাল ওই মামলা সাক্ষী ছিল। সাক্ষী দিতে গেলে আবু তালেব সিঁড়ি দিয়ে হামাগুঁড়ি নামার সময় এসব কথা বলেন।’
তিনি বলেন, ‘২০১২ সালের ১১ নভেম্বর ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার মোয়াজ্জেমপুর কানুরামপুর গ্রামে জমি লিখে না দেয়ায় মাকে গলাকেটে হত্যা করে আবু তালেব। ওইদিন নিহতের অপর ছেলে আবু তালেবকে আসামি করে নান্দাইল থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। হত্যার দুইদিন পরই পুলিশ আবু তালেবকে গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠায়।’