নিজ দোকানেই ঘরের আঁড়ার সঙ্গে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন সোহেল মিয়া (৩৭) নামে এক ব্যবসায়ী। খবর পেয়ে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠায়। আজ সোমবার দুপুরে এ ধরনের ঘটনা ঘটেছে ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার তারুন্দিয়া ইউনিয়নের সতর বাহেরা বাজারে। নিহতের বাম হাতে লেখা ছিল ‘কবিতা তুই আমারে শেষ করে দিলে, ‘কবিতা তুমি আমারে বাঁচতে দিলা না’। এ ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
স্থানীয় সূত্র জানায়, নিহত সোহেল মিয়া হচ্ছেন- সতর বাহেরা গ্রামের মৃত আব্দুর রহিমের ছেলে। স্থানীয় বাজারে তাঁর একটি ওষুধের দোকান আছে। আজ সোমবার সকালে দোকানে প্রবেশ করে ভেতর থেকে বন্ধ করে দেয়। এরপর আর খোলেনি। বাজারের লোকজন জানায়, দুপুরের পর জনৈক কাস্টমার দোকানে এসে খোঁজে না পেয়ে চলে যাওয়ার সময় বেশ কয়েকবার সাঁটারে শব্দ করলেও সারা না পেয়ে রহস্যের সৃষ্টি হয়। পরে সাঁটার ভেঙে দেখা যায় সোহেল ভেতরের আঁড়ার সঙ্গে ঝুলে আছে। খবর পেয়ে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে।
স্থানীয়রা জানায়, মরদেহ মাটিতে নামালে দেখা যায় ঘড়ি পরিহিত বাম হাতে ও তালুতে লেখা রয়েছে ‘কবিতা তুই আমারে শেষ করে দিলে, ‘কবিতা তুমি আমারে বাঁচতে দিলে না’। পরে জানা যায়, ওই কবিতা হচ্ছে সোহেলের বাড়ির পাশের প্রবাসীর স্ত্রী কবিতা আক্তার। তিনি ওই গ্রামের মো. শরফুলের মেয়ে। তাকে বিয়ে দেওয়া হয়েছিল ভালুকা উপজেলায়। বিয়ের পর স্বামী সৌদি আরবে চলে যান। এরপর থেকেই সোহেলের সঙ্গে কবিতার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। এ নিয়ে এলাকায় ব্যাপক কানাঘুষাও ছিল।
ঘটনাটি এলাকায় জানাজানির পর সৌদি প্রবাসী স্বামীও জানতে পেরে স্ত্রীর সঙ্গে মনমালিন্য চলছিল। এ নিয়ে গত কয়েকদিন ধরে সোহেলের সঙ্গে কবিতার সম্পর্কের অবনতি ঘটে। এর কারণেই হতাশাগ্রস্ত হয়ে সোহেল আত্মহত্যা করতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। আত্মহত্যার আগে কবিতাকে দায়ি করে সোহেল নিজের হাতে লিখে যায়।
ঈশ্বরগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক মো. কাউসার আহম্মেদ জিহাদ জানান, ঘটনাটি রহস্যজনক হওয়ায় লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে।