মুন্সীগঞ্জ থেকে : ফেরির সঙ্গে ধাক্কা লেগে আশিক এন্টারপ্রাইজ নামের একটি লঞ্চ পদ্মার চরে গিয়ে ছিটকে পড়েছে। রবিবার (১৮ আগষ্ট) রাত পৌনে ৮টায় মুন্সীগঞ্জের লৌহজং উপজেলার পদ্মা নদীতে শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ী নৌরুটে এ ঘটনা ঘটে।
এক লঞ্চযাত্রী ৯৯৯ নম্বরে ফোন করলে লঞ্চের দুইশ জন যাত্রীকে উদ্ধার করে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়। মাওয়া নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ আমিনুল ইসলাম জানান, শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ী নৌরুটের লৌহজং টার্নিং পয়েন্টে কাঁঠালবাড়ী ঘাটগামী রাণীক্ষেত ফেরির সঙ্গে শিমুলিয়া ঘাটগামী লঞ্চের ধাক্কার ঘটনা ঘটেছে।
লঞ্চের একজন যাত্রী ৯৯৯ নম্বরে ফোন করেন। এরপর মাওয়া নৌ-পুলিশকে জানালে তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে গিয়ে যাত্রীদের উদ্ধার করা হয়। লঞ্চটির সামনের উপরের কিছু অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। শিমুলিয়া ঘাট থেকে আরেকটি লঞ্চ গিয়ে যাত্রীদের উদ্ধার করে। লঞ্চটি বর্তমানে শিমুলিয়া ঘাটে আছে।
বিআইডব্লিউটিএয়ের শিমুলিয়া ঘাট পরিদর্শক সোলেমান জানান, মাদারীপুরের কাঁঠালবাড়ী ঘাট থেকে দুইশ জন যাত্রী নিয়ে আশিক এন্টারপ্রাইজ নামের লঞ্চটি মুন্সীগঞ্জের শিমুলিয়া ঘাটের দিকে আসছিল। পথে লৌহজং চ্যানেল সরু হওয়ায় কাঁঠালবাড়ী ঘাটগামী ফেরির সঙ্গে ধাক্কা লেগে লঞ্চটি পদ্মার চরে ছিটকে পড়ে। লঞ্চটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি।
চ্যানেলে পানি কম থাকায় চ্যানেল সরু হয়ে গেছে, তাই এই ঘটনা ঘটেছে। খবর পেয়ে আরেকটি লঞ্চের মাধ্যমে যাত্রীদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। কোনও যাত্রী নিখোঁজ হয়নি। লঞ্চ চলাচলের নিজস্ব কোনও চ্যানেল নেই। এখন একটি বিকল্প চ্যানেল দিয়ে ফেরি, লঞ্চ একসঙ্গে চলাচল করে। পানি কমে যাওয়া সরু নৌরুটের চ্যানেলে খুব সাবধানে একে-অপরকে অতিক্রম করে থাকে। এখন রাত ১০টা পর্যন্ত লঞ্চ চলাচল করে।
বিআইডব্লিউটিসির শিমুলিয়া ঘাটের উপ-মহাব্যবস্থাপক নাসির মোহাম্মদ চৌধুরী বলেন, ‘লঞ্চগুলো রাতে চলাচল করার কথা নয়। আমাদের নৌচ্যানেল ব্যবহার করে লঞ্চ চলাচল করে। বড় ডাম্প ফেরি লঞ্চের ওপর এসে ধাক্কা লেগে চরের দিকে চলে যায়। লঞ্চের ক্ষয়ক্ষতি হয়নি।’