মুন্সিগঞ্জ: টানা বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে দেশের বন্যা প'রিস্থিতির আরও অবন'তি হয়েছে। একই সঙ্গে বৃদ্ধি পেয়েছে নদীভাঙ'ন। এ অবস্থায় মুন্সিগঞ্জের পদ্মা নদীর ভাগ্যকূল পয়েন্টে বিপৎসীমার ৬২ এবং মাওয়ায় ৫৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে পানি। এতে মুন্সিগঞ্জের নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। ইতোমধ্যে হাজার হাজার পরিবার পানিব'ন্দি হয়ে পড়েছে।
এদিকে পদ্মার ভা'ঙনে নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে মুন্সিগঞ্জের টঙ্গিবাড়ী উপজেলার হাইয়ারপাড় গ্রামের হাইয়ারপাড় জামে মসজিদ। একই উপজেলার বেতকা পশ্চিমপাড়া জামে মসজিদও ভা'ঙনের ক'বলে পড়েছে। ইতোমধ্যে লৌহজং উপজেলার হলদিয়া গ্রামের একটি মসজিদের একাংশ নদীতে বি'লীন হয়ে গেছে। মসজিদের বাকি অংশে গতকাল শুক্রবার (১৭ জুলাই) শেষ জুমার নামাজ আদায় করেছেন মুসল্লিরা।
এছাড়া টঙ্গিবাড়ী উপজেলার বাইনখাড়া মুন্সিবাড়ি পয়েন্টে দুই সেতুর সংযোগ সড়কের একাংশ নদীর স্রোতে বি'লীন হয়ে গেছে। এতে কামারখাড়া-আদাবাড়ি এবং দীঘিরপাড়-কামারখাড়া-ভাঙ্গুনিয়া সড়ক যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে। মুন্সিগঞ্জ বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আরিফুজ্জামান ভূঁইয়া বলেন, গঙ্গা ও পদ্মা অববাহিকার নদীগুলোতে পানি বাড়ার প্রবণতা আগামী দুদিন অব্যাহত থাকবে।
লৌহজং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. কাবিরুল ইসলাম খান বলেন, পদ্মা নদী তীরবর্তী চর এলাকার কিছু বাসাবাড়িতে পানি প্রবেশ করেছে। মূল চরের মধ্যে বসবাসরত প্রায় এক হাজার পরিবার পানিব'ন্দি হয়ে পড়েছে।