এমটিনিউজ২৪ ডেস্ক : মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় আলু পরিবহন কাজের কর্তৃত্ব ও এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপের মধ্যে গোলাগুলি ও ককটেল বিস্ফোরণ হয়েছে। এ ঘটনায় কেউ আহত না হলেও আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে গোটা এলাকায়। ঘটনার পর আলু পরিবহন বন্ধ।
তবে পুলিশ দাবি করছে, পুলিশ মোতায়েনের পর আবার আলু পরিহন শুরু হয়েছে। তবে স্থানীয়রা জানিয়েছেন একটা গুমোট পরিস্থিতি বিরাজ করছে এখনও স্বাভাবিকভাবে আলু পরিবহন শুরু হয় নি।
শুক্রবার রাতে উপজেলার ইমামপুর ইউনিয়নের হোগলাকান্দি গ্রামের ভাটি চকে এ ঘটনা ঘটে। করিমখাঁ গ্রামের রমজান গ্রুপের সাথে হোগলাকান্দির লালু-সৈকত গ্রুপের বিরোধ।
রাতে হোগলাকান্দি গ্রাম সংলগ্ন ভাটি চকে কৃষকের জমি থেকে লালু-সৈকত গ্রুপ ট্রলিতে আলুর বস্তা পরিবহনের চেষ্টাকালে রমজান ও তার লোকজন বাধা দেয়। এ সময় কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। এটি রাত ১০ টার পরের ঘটনা। পরে উভয়পক্ষের মধ্যে গুলি ছোড়ে। থেমে থেমে রাত ১২টা পর্যন্ত গুলির শব্দ শোনা যায়।
স্থানীয়রা জানায়, চকটির আলু পরিবহনের কাজে অন্য লোককে আসতে বাধা দেয়। শুধু একটি পক্ষই দীর্ঘদিন ধরে এই কাজ করছে। এতে বস্তা প্রতি ১৫ টাকা বেশি দিয়ে আলু পরিবহন করতে বাধ্য হচ্ছে। সহিংসতার পর এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পরে একই সাথে আলু পরিবহন বন্ধ রয়েছে। দ্রুত সমস্যার সমাধান না হলে কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত হবে। এ বিষয়ে তাদের বক্তব্য জানতে রমজান এবং লালুর মোবাইল বন্ধ পাওয়া যায়।
গজারিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আনোয়ার আলম আজাদ জানান, শনিবার সকালে খবর পেয়ে জড়িতদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। পুলিশ মোতায়েনের পর আবার আলু পরিহন শুরু হয়েছে। কৃষক যাতে নির্বিঘ্নে তাদের তোলা আলু পরিবহন করতে পারে সে লক্ষ্যে কাজ চলছে।