নারায়ণগঞ্জ : ফ্ল্যাটে গেলেই দেখতাম কেউ রান্না করছে, কেউ শুয়ে আছে বলে জানান নারায়ণগঞ্জের দেওয়ান বাড়ির মালিক নুরুদ্দিন দেওয়ান। জঙ্গিদের তথ্য গোপনের অভিযোগে গ্রেফতার হন তিনি।
তিনি বলেন, একমি ওষুধ কোম্পানির বিপণন প্রতিনিধি পরিচয়ে জঙ্গিরা তার ফ্ল্যাট ভাড়া নেয়। তিনি আগে জাপানে থাকতেন। সেখান থেকে দেশে ফিরে প্রায় ১৫ বছর আগে তিন-তলা বাড়িটি করেন।
নুরুদ্দিন দেওয়ান বলেন, দ্বিতীয় তলার পুরোটা নিয়ে তিনি থাকেন। তৃতীয় তলায় উত্তর ও দক্ষিণ দিকে একটি করে দুটি ফ্ল্যাট রয়েছে। এর মধ্যে উত্তর দিকের ফ্ল্যাটটি ভাড়া নেয় জঙ্গিরা।
তিনি বলেন, কোম্পানির পরিচয়পত্র অনুসারে নিহত দুই জঙ্গির নাম মুরাদ ও রানা। যদিও পুলিশ তাদের নাম প্রাথমিকভাবে মানিক ও ইকবাল বলে জানিয়েছে।
নুরুদ্দিন দেওয়ান বলেন, ভাড়া দেয়ার পর আমি একাধিকবার ওই বাসায় গিয়েছি। গিয়ে দেখেছি, তারা কেউ রান্না করছে, কেউ শুয়ে আছে। গত দেড় মাসে সন্দেহজনক কিছু আমার চোখে পড়েনি।
তিনি বলেন, নিহত তিনজনের মধ্যে দুজন জুলাই মাসের ৫ তারিখে বাসা ভাড়া নেয়। তবে তামিম ভাড়া নেয়ার সময় আসেননি।
উল্লেখ্য, নারায়ণগঞ্জের পাইকপাড়া বড় কবরস্থান এলাকার ওই বাড়িতে শনিবার সকাল পৌনে ৯টার দিকে ‘অপারেশন হিট স্ট্রং ২৭’ পরিচালনা করে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্স ন্যাশনাল ইউনিটের সদস্যরা।
অভিযানে গুলশান হামলার মাস্টারমাইন্ড তামিম চৌধুরীসহ নিহত হয় তিন জঙ্গি।
২৮ আগস্ট, ২০১৬/এমটিনিউজ২৪/প্রতিনিধি/এমআর/এসএম