শুক্রবার, ২৮ অক্টোবর, ২০১৬, ১০:১৩:৫৬

শিক্ষক-শিক্ষিকার পরকীয়া, উত্তেজনাকর পরিস্থিতি সৃষ্টি

শিক্ষক-শিক্ষিকার পরকীয়া, উত্তেজনাকর পরিস্থিতি সৃষ্টি

নারায়ণগঞ্জ থেকে : নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় একটি স্কুলের প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষিকার পরকীয়া নিয়ে দুই পরিবারের লোকজনের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করে। শুক্রবার বিকালে ফতুল্লার ভুইগড় এলাকায় অবস্থিত রূপায়ন টাউনে এ ঘটনা ঘটে।
 
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ঢাকার শাহজাহানপুর এলাকার শান্তিবাগ হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক মাইনউদ্দিন প্রিন্স ও একই স্কুলের সহকারী শিক্ষিকা কামরুন নাহার লাভনী। কয়েকমাস ধরে তারা রূপায়ন টাউনের ১ নম্বর বিল্ডিংয়ের সি-৩ ফ্ল্যাটে স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে বসবাস করছেন।
 
শুক্রবার বিকালে কামরুন নাহার লাভনীর স্বামী ময়মনসিংহ জেলার নান্দাইল থানার শ্রীরামপুর গ্রামের আবু তালিব ফকির রূপায়নের ওই ফ্ল্যাটে এসে উঠেন। একই সময় প্রধান শিক্ষক মাইনউদ্দিন প্রিন্সের খোঁজে তার স্ত্রী ফরিদা ইয়াসমিনও ওই ফ্ল্যাটে গিয়ে উঠেন।
 
এসময় দুই পরিবারের লোকজনের মধ্যে চরম উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। এরপর আবু তালিব ফকির থানায় অভিযোগ করলে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করেন।
 
আবু তালিব ফকির জানান, তার স্ত্রী লাভনী স্কুলে চাকুরি করাকালীন সময় তার স্কুলের প্রধান শিক্ষক প্রিন্সের সঙ্গে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়ে। পাঁচ মাস আগে লাভনী তাকে কিছু না বলে স্বর্ণালংকার ও নগদ টাকা পয়সা নিয়ে বাসা থেকে বেরিয়ে যায়।
 
বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজির পাঁচ মাস পর রূপায়ন টাউনে এসে একটি ফ্ল্যাটে প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে লাভনীকে অনৈতিক কাজে লিপ্ত অবস্থায় পান। তারা বিয়ে করেছে বলে দাবি করলেও কোনো কাগজপত্র দেখাতে পারেননি। উল্টো প্রিন্সের ছোট ভাই তামিম সন্ত্রাসী নিয়ে তার ওপর হামলা চালানোর চেষ্টা করেছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।
 
আবু তালিব ফকির বলেন, 'আমার দুইটি শিশু সন্তান আছে। আমি এ ঘটনায় মামলা করবো।'
 
এদিকে ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রধান শিক্ষক মাইনউদ্দিন পিন্সকে পাওয়া যায়নি। তার ছোট ভাই তামিম জানান, 'শুনেছি লাভনী তার আগের স্বামীকে তালাক দিয়ে আমার বড় ভাই প্রিন্সকে বিয়ে করেছে। কয়েক মাস অগে রূপায়ন টাউনে একটি ফ্ল্যাট কিনে তারা সেখানে বসবাস করছে। আমার বড় ভাইয়ের আগের সংসারে স্ত্রী-সন্তান আছে।'
 
কামরুন নাহার লাভনী জানান, আবু তালিক ফকিরকে তালাক দিয়ে প্রিন্সকে তিনি বিয়ে করেছেন। তালাক নামা ও বিয়ের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র তিন দিন পর তিনি থানায় নিয়ে দেখাবেন।
 
ফতুল্লা মডেল থানার এসআই মাসুদ রানা জানান, আবু তালিব ফকিরের অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনাস্থলে গিয়ে উত্তেজনাকর পরিস্থিতি থামানো হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। যুগান্তর

২৮ অক্টোবর ২০১৬/এমটিনিউজ২৪/এসএস/এসবি‌ ‌‌

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে