নারায়ণগঞ্জ থেকে : নারায়ণগঞ্জ সিটি নির্বাচনে জেলা বিএনপি সভাপতি ও দলের সম্ভাব্য প্রার্থী তৈমূর আলম খন্দকার বলেন, ‘আমি নেতা-কর্মীদের সঙ্গে কথাবার্তা বলছি। ম্যাডামকেও সার্বিক অবস্থা পর্যালোচনা করে বুঝিয়েছি। এখন ম্যাডাম (বেগম খালেদা জিয়া) যা সিদ্ধান্ত দেবেন তাই হবে। দল বা ম্যাডাম চাইলে শুধু প্রার্থী হওয়া কেন আমি আত্মহত্যাও করতে পারি।’
তিনি বলেন, ‘দলের স্থায়ী কমিটিতেও আমাকে প্রার্থী করা নিয়ে আলোচনা হয়েছে বলে শুনেছি। কিন্তু এলাকার সার্বিক অবস্থাও শীর্ষ নেতৃত্বকে বুঝতে হবে। লেভেল প্লেইং ফিল্ড নেই। বাকশালী শাসন চলছে। মারও খাচ্ছি, আবার মামলাও খাচ্ছি। সর্বশেষ ইউপি নির্বাচনেও ভোটাররা ভোটকেন্দ্রে যেতে পারেনি। আগে নির্বাচন পদ্ধতি ঠিক করতে হবে। সব কিছুই ম্যাডামকে জানিয়েছি। এখন সবকিছু বিবেচনায় তিনি সিদ্ধান্ত নেবেন।’
অভিমান করে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘সর্বশেষ ঢাকা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ম্যাডাম প্রচারণা চালাতে গিয়ে তার গাড়িতে হামলা হয়। ভাঙচুর করা হয়। আমিও সেখানে গুলি খাই। কিন্তু কোনো বিচার হয়নি। এখন নির্বাচন নিয়ে অনেকেই অনেক কথা বলছেন। কিন্তু পরিবেশ পরিস্থিতিও মাথায় রাখতে হবে। দলকেও বুঝতে হবে, নির্বাচনে লেভেল প্লেইং ফিল্ড আছে কি না। এই সরকার ও নির্বাচন কমিশনের ওপর আস্থা রাখা যায় কি না তাও বলতে হবে।’
আগের নাসিক নির্বাচনেও দলের নীতি-নির্ধারকরা সিদ্ধান্ত নিয়েছিল জানিয়ে তৈমূর আলম খন্দকার বলেন, ‘আগের বারও বিএনপির স্থায়ী কমিটি সিদ্ধান্ত নিয়ে ৫ ঘণ্টা আগে আমাকে প্রত্যাহার করে নেয়। এবারও সেই ক্ষমতা তাদের রয়েছে। তবে সর্বশেষ কথা হলো ম্যাডাম যে সিদ্ধান্ত নেবেন, সেটাই আমার সিদ্ধান্ত।’
২০ নভেম্বর ২০১৬/এমটিনিউজ২৪/এসএস/এসবি