নিউজ ডেস্ক : নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনের একটি ভোটকেন্দ্রে ঢোকার সময় আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী সেলিনা হায়াৎ আইভীর সঙ্গে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা ম্যাজিস্ট্রেটের উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় হয়েছে। ভোট কেন্দ্রে মোবাইল ফোন নিয়ে যাওয়া ও প্রার্থীর প্রতীকের ব্যাচ ব্যবহার করতে না দেয়া নিয়ে এই বাদানুবাদ হয়।
ভোট চলার চার ঘণ্টা পর বেলা ১২টার দিকে লক্ষ্মী নারায়ণ কটন মিলস স্কুলের প্রবেশ পথে এ ঘটনা ঘটে। ওই কেন্দ্রে মোবাইল ফোন নিয়ে যাওয়া নারী ভোটারদেরকে ফিরিয়ে দিচ্ছেলেন ম্যাজিস্ট্রেট ইমরুল হাসান। একই সঙ্গে কারও বুকে প্রার্থীর পক্ষে ব্যাচ থাকলে তা খুলে ফেলার নির্দেশ দিচ্ছিলেন তিনি।
এটা দেখে ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে এর কৈফিয়ত চান আইভী। জবাবে আইভীকে ম্যাজিস্ট্রেক বলেন, মোবাইল নিয়ে অনেকে ভোটকেন্দ্রের ছবি তোলে ফেসবুকে দেয়। এই জন্য মোবাইল নিয়ে ভোট কেন্দ্রে যেতে দেয়া হচ্ছে না।
আইভী বলেন, এটা পুরুষ ভোটারদের বললে সেটা সম্ভব। কিন্তু নারীদেরকে মোবাইল ফোন রেখে রাখতে বলা হলে তাদের অনেকে হয়ত বাসা থেকে আর ভোটকেন্দ্রে আসবেনই না। এ সময় তিনি নারী ভোটারদেরকে ফিরিয়ে না দিতে ম্যাজিস্ট্রেটকে অনুরোধ করেন।
ভোটকেন্দ্রে যা্ওয়ার সময় কারও কাছে প্রার্থীদের প্রতীকসহ ব্যাচ খুলে ফেলা নিয়েও আপত্তি করেন আইভী। বলেন, ‘এটা আমাদের নির্বাচনের সাংস্কৃতি। সব সময়ই এটা হয়ে আসছে।’
তবে ম্যাজিস্ট্রেট বলেন, ‘ব্যাচ প্রচারণার অংশ। ৭২ ঘণ্টা আগে থেকে প্রচারণা নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এটা আচারণবিধির লঙ্ঘণ। আর কোনো একক প্রার্থীর ব্যাচ খুলে ফেলা হচ্ছে না। সবারই ব্যাচ খোলা হচ্ছে।
পরে আইভী সাংবাদিকদেরকে বলেন, ‘বেশিরভাগ নারী ভোটারই আমার। নারীরা যদি ভোট দিতে না পেরে ফিরে যান, তাহলে আমি ক্ষতিগ্রস্ত হবো ‘ তিনি বলেন, ‘সরকারি কর্মকর্তাদেরকে ভোট দিতে মানুষকে এনকারেজ করতে হবে। কিন্তু তারা যদি সেটা না করে উল্টো কাজ করে তাহলে তো হবে না।’
এটা ইচ্ছা করেই কি না- এমন একটি প্রশ্নের জবাবে আইভী বলেন, ‘না, না সব জায়গায় তো পরিস্থিতি এক না। তবে কোথাও কোথাও নারী ভোটাররা বুথ খুঁজে পাচ্ছেন না। তাদেরকে আরও সহযোগিতা করা উচিত।’ ঢাকা টাইমস
২২ ডিসেম্বর,২০১৬/এমটিনিউজ২৪/এসএস