নিউজ ডেস্ক : নারায়ণগঞ্জের সাত খুন মামলার প্রধান আসামি নুর হোসেনের ‘বান্ধবী’ বলে খ্যাত জান্নাতুল ফেরদৌস নীলা সাত খুনের রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেছেন, শুধু নূর হোসেন নন, এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত সবার শাস্তি কার্যকর চান তিনি।
সোমবার রায় ঘোষণার পর রাতে এই সন্তোষ প্রকাশ করেন নিজেকে নূর হোসেনের স্ত্রী দাবি করা নীলা। সাত খুনের কারণে সাতটি পরিবার ধ্বংস হয়ে গেছে উল্লেখ করে নীলা বলেন, ‘উপার্জনক্ষম মানুষগুলো হারিয়ে পরিবারগুলো এখন পথে বসে পড়েছে। আমি অন্তর থেকে আল্লাহকে সাক্ষী রেখে বলছি, নুর হোসেনসহ সবার শাস্তি কার্যকর চাই।’
সংরক্ষিত ওয়ার্ডের সাবেক নারী কাউন্সিলর জান্নাতুল ফেরদৌস নীলা গত বছরের মে মাসে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় দায়ের করা জুয়েল হত্যা মামলায় জড়িত সন্দেহে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। প্রায় দুই মাস পর জামিনে মুক্তি হন তিনি।
এর আগে গত ১৮ মে নীলাকে সাত হত্যাকাণ্ডের প্রধান আসামি নূর হোসেন সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটকের পর তাকে ছেড়ে দেয় জেলা গোয়েন্দা পুলিশ।
এলাকাবাসী জানায়, নীলা নাসিক ৪, ৫ ও ৬ নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর। ২০১১ সালের ৩০ অক্টোবর নির্বাচনের কিছুদিন পর থেকেই ৪নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর নূর হোসেনের সঙ্গে পরকীয়া প্রেমে জড়িয়ে পড়ে। নূর হোসেনের স্ত্রী পরিচয়ে বিভিন্ন মহলে প্রভাব বিস্তার ছাড়াও কেন্দ্রীয় বেশ কয়েকজন রাজনীতিক নেতা এবং প্রশাসনের অনেক কর্তা ব্যক্তির সঙ্গেও সম্পর্ক গড়ে তুলেছিল।
এ নিয়ে স্বামী সায়েমের সঙ্গে বিরোধ দেখা দিলে ২০১৩ সালের ২৫ জুন তাদের ডিভোর্স হয়। গত ১৮ মে নীলাকে সাত খুন মামলার প্রধান আসামি নূর হোসেন সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদে জন্য আটকের পর ছেড়ে দেয় জেলা গোয়েন্দা পুলিশ।
জান্নাতুল ফেরদৌস নীলা নূর হোসেনের ‘রক্ষিতা’ ছিলেন বলে কিছু কিছু গণমাধ্যমে খবর এসেছিল। কোথাও কোথাও আবার তাকে বান্ধবী হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে। সে সব সংবাদ নাকচ করে তিনি নূর হোসেনের স্ত্রী বলে দাবি করেন। নীলা জানান, সাত খুনের একজন কাউন্সিলর নজরুল ইসলাম ছিলেন তার বিয়ের উকিল বাবা। তবে মিডিয়ায় তাকে রক্ষিতা বা যেভাবেই তুলে ধরা হোক না কেন, তাতে একটা লাভও হয়েছে বলে জানান তিনি। বলেন, তিনি এখন সেলিব্রিটি।
নীলা বলেন, ‘কিছু কিছু মিডিয়া লেখে আমি নাকি নুর হোসেনের রক্ষিতা। বিয়ের পর একজন স্ত্রী কীভাবে স্বামীর রক্ষিতা হয়?’
১৬ জানুয়ারি ২০১৭/এমটিনিউজ২৪/এসএস