নারায়াণগঞ্জ থেকে : নিজের বাড়িতে ভাড়া নেওয়া ভাড়াটিয়ারা জঙ্গি কিনা? সেই সন্দেহে নজরদারি করতে গিয়ে নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় দেহব্যবসার সন্ধান পেয়েছেন এক বাড়িওয়ালা। পরে তিন নারী ও দুই খদ্দেরসহ ৫ জনকে পুলিশে দিয়েছেন তিনি। শুক্রবার দুপুরে ফতুল্লার দক্ষিণ সস্তাপুর এলাকায় এ ঘটনায় বাড়িওয়ালা বাদী হয়ে ৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন।
গ্রেফতারকৃতরা হলো- বজলু মিয়া, আব্দুর রহিম, রিনা বেগম, খাদিজা আক্তার ও সুমি। তাদের বিস্তারিত পরিচয় তাৎক্ষণিক পাওয়া যায়নি। পুলিশ জানায়, ওই চক্রটি সুন্দরী নারীর প্রলোভন দেখিয়ে ফ্ল্যাটে নিয়ে ব্ল্যাকমেইল করে বড় অংকের টাকা হাতিয়ে নিত। তাদের খপ্পরে পরে অনেকেই সর্বস্ব হারিয়েছেন।
বাড়িওয়ালার বরাত দিয়ে ফতুল্লা মডেল থানার পরিদর্শক (অপারেশন্স) মজিবুর রহমান জানান, প্রতিদিন নতুন নতুন পুরুষ ও মহিলাদের যাতায়াত দেখে ভাড়াটিয়ার ফ্ল্যাটে সতর্কতার সঙ্গে পর্যবেক্ষণ করতে থাকেন বাড়িওয়ালা সেলিম মিয়া। একই সঙ্গে তিনি আতঙ্কেও থাকতেন। দিনের বেশিরভাগ সময় ওই ফ্ল্যাটটি থাকতো নিরব। ঘরের ভেতরও নারীরা পর্দা ধারণ করে থাকতেন। বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় লোকজনের সঙ্গেও তিনি আলোচনা করেন।
এক পর্যায়ে শুক্রবার ভোর রাতে ওই ফ্ল্যাটে হৈচৈ শব্দ শুনে দরজার সামনে এগিয়ে যান সেলিম মিয়া। এ সময় শুনতে পান ভাড়াটিয়ারা দেহব্যবসার টাকার ভাগ নিয়ে ঝগড়া করছে। এরপর দেরি না করে বাড়িওয়ালা থানায় খবর দিলে পুলিশ গিয়ে ওই ফ্ল্যাট থেকে ৫জনকে গ্রেফতার করে।
গ্রেফতারকৃতদের বরাত দিয়ে পরিদর্শক (অপারেশন্স) মজিবুর রহমান জানান, সাইদুল নামে স্থানীয় এক যুবকের ছত্রছায়ায় ফ্ল্যাট বাসা ভাড়া নিয়ে কৌশলে দেহব্যবসা পরিচালিত হতো। তারা সুন্দরী নারীর প্রলোভন দেখিয়ে বিভিন্ন ব্যবসায়ীদের ফ্ল্যাটে ডেকে নিয়ে বিবস্ত্র করে নারীদের সঙ্গে মোবাইলে ছবি তুলে ব্ল্যাকমেইল করে বড় অংকের টাকা হাতিয়ে নেয়। তাদের খপ্পরে পরে অনেকেই সর্বস্ব হারিয়েছেন। গ্রেফতারকৃতদেরসহ ৬জনের বিরুদ্ধে বাড়িওয়ালা সেলিম মিয়া মামলা দায়ের করেছেন। তাদের রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে বলে জানায় পুলিশ।
৪ জুন, ২০১৭/এমটিনিউজ২৪ডটকম/এসবি