নারায়ণগঞ্জ থেকে : আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী নেতা ও সংসদ সদস্য শামীম ওসমান বলেছেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতায় যারা বিশ্বাস করে না তারাই মুক্তিযুদ্ধে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবদান অস্বীকার করছে। খুব শিগগিরই এসব পাকিস্তানপ্রেমীদের দাঁতভাঙা জবাব দেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।
জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে শনিবার নারায়ণগঞ্জে এক শোক র্যালিপূর্ব সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন। মুষলধারে বৃষ্টি উপেক্ষা করেও শামীম ওসমানের ডাকে শোক র্যালিতে উপস্থিত ছিলেন লক্ষাধিক নেতাকর্মী ও সমর্থক।
শামীম ওসমান বলেন, তারা এ দেশকে এখনও পাকিস্তান আর আদালতকে পাকিস্তানি আদালত ভাবে। এ দেশের জনগণ ও দেশ প্রেমিক সেনাবাহিনীকেও পাকিস্তানি আর্মি মনে করে। তারা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে পাকিস্তানের নওয়াজ শরিফ মনে করে। খুব শিগগিরই এসব পাকিস্তানপ্রেমীদের দাঁতভাঙা জবাব দেবেন এ দেশের জনগণ। এ দেশের উন্নয়ন আর ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য শেখ হাসিনা আবারও জনগণের রায় নিয়ে প্রধানমন্ত্রী হবেন।
তিনি আরও বলেন, চারদিকে ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে। ওদের একটাই উদ্দেশ্য শেখ হাসিনাকে নিঃশেষ করা। গভীর উদ্বেগের বিষয় যে, প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা বাহিনীতেও এখন শিবির ঢুকে গেছে।
মূলত, দলীয় কোন্দল নিরসনে জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগ নেতাদের এক প্ল্যাটফর্মে আনতেই শোক দিবসটিকে উপযুক্ত সময় হিসেবে বেছে নিয়েছিলেন এমপি শামীম ওসমান। শোক দিবসের র্যালিতে দেশ ও দলের স্বার্থে সবাইকে এক মঞ্চে থাকার আহ্বান জানান তিনি।
তবে বারবার অনুরোধ সত্ত্বেও নাসিক মেয়র সেলিনা হায়াৎ আইভী, মহানগর আওয়ামী লীগ সভাপতি আনোয়ার হোসেন, সাধারণ সম্পাদক খোকন সাহা না আসায় নেতাকর্মীদের মাঝে গুঞ্জন শুরু হয়। একপর্যায়ে এ নিয়ে র্যালিতে আসা নেতাকর্মীরা তাদের বিরুদ্ধে স্লোগান দিলে উত্তেজনাকর পরিবেশ সৃষ্টি হয়।
এ সময় শামীম ওসমান নেতাকর্মীদের শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়ে বলেন, আমাদের মাঝে নেতৃত্বের বা মতপ্রার্থক্যের বিরোধ থাকলেও আমরা সবাই বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিক। আমি তাদের র্যালিতে আসার আহ্বান জানিয়েছিলাম। কিন্তু ব্যক্তিগত ব্যস্ততার কারণে হয়তো তারা আসেননি।
শোক র্যালিপূর্ব সমাবেশে জেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক আবু হাসনাত শহীদ বাদলের সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য রাখেন নারায়ণগঞ্জ জেলা, মহানগর, বিভিন্ন থানা শাখা আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতারা।
এমটিনিউজ/এসবি